দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর: জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র কানাহাইয়া কুমার ও বাকিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হবে না। পুলিশকে সাফ জানিয়ে দিল দিল্লির সরকার। ২০১৬-র ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসে (JNU campus) সেদিন ঝড় উঠেছিল। সংসদ হামলায় অভিযুক্ত কাশ্মীরী আফজল গুরুর ফাঁসি রদের দাবিতে তোলপাড় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সেদিন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার (Kanahiya Kumar), উমর খালিদ (Umar Khalid), অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya), শেলা রাশিদদের (Shela Rashid) বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। এমনকী তাঁরা নাকি স্বাধীন কাশ্মীরের দাবিও তুলে ছিলেন। এই প্রতিবাদের একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দিল্লি পুলিশের তরফে অভিযোগ ওঠে কানাহাইয়া কুমারদের বিরুদ্ধে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে দিল্লি পুলিশ তিন বছর আগে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, দাঙ্গা ও অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করে। এমনিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করে। জানায়, সরকার অনুমতি দিলেই মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। চার্জশিটে স্পষ্টই লেখা হয়, কানহাইয়া কুমার ও তাঁর সঙ্গীরা ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসের এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়েছিল। কানাহাইয়া কুমার ছাড়াও এউ চার্জশিটে নাম ছিল জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদ, শেলা রশিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের। আফজল গুরুর (Afzal Guru) ফাঁসির বিরোধিতা করে এই তৎকালীন ছাত্রদের নাকি দেশ বিরোধী স্নোগান দিতে দেখা গিয়েছে। আরও পড়ুন-P Chidamabarm on INX Media Case:তিহাড় জেলের সাত নম্বর কুঠুরিতে ঠাঁই চিদম্বরমের, খেতে হবে জেলের ক্যান্টিনেই, থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা
বর্তামানে এই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটির পর্যালোচনা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানা গিয়েছে সেদিনের প্রিতবাদ অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। তবে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয় কি না তা আদালতে বিচার্য। চলতি মাসের ১৮ তারিখ জেএনইউর এই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসাবে ধার্য হয়েছে।