নতুন দিল্লি, ১৬ ফেব্রুয়ারি: প্রকাশ্যে এল গত ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার (Jamia Milia Islamia) লাইব্রেরিতে পুলিশি হানার ভিডিও। তাতে দেখা যায় পুলিশ লাইব্রেরিতে থাকা সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ওপর লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। এই ভিডিও প্রকাশ পেতেই উঠেছে নিন্দার ঝড়। কিছু নেটিজেনদের বক্তব্য যারা হামলা চালায় তারা পুলিশ নয় বিক্ষোভকারী। ভিডিও নিয়ে উঠেছে চরম জল্পনা। কিন্তু ভিডিওটিতে পুলিশ মুখে কাপড় দিয়ে ঢোকে এবং পড়ুয়াও মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকছে। পড়ুয়া হলে কেন লাইব্রেরিতে রুমালে মুখ ঢাকছেন এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
শনিবার জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটি ওই ভিডিও প্রকাশ করে। এই কমিটি পরিচালনা করেন প্রাক্তন এবং বর্তমান পড়ুয়ারাই। উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় বিক্ষোভ-মিছিল করে জামিয়ার পড়ুয়ারা। বেশি কিছু জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাস পোড়ানো হয়। হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় নামে দিল্লি পুলিস। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর। ওল্ড রিডিং হলে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়েছে এই সন্দেহে পুলিশও ঢুকে পড়ে। লাইব্রেরিতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। আরও পড়ুন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের গুজরাত সফরে মোতায়েন ১০,০০০ পুলিশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার লাইব্রেরিতে পুলিশি হানায় কোনও অপরাধ নেই। দুষ্কৃতীদের লাইব্রেরি থেকে বার করতেই পুলিশ লাইব্রেরির ভিতর প্রবেশ করে। গত ডিসেম্বরের লাইব্রেরির পুলিশি হানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এল।
Wow Man!! अब students मुंह पर रुमाल बांधकर कबसे Study करने लगे
Well Played... but it will not work @anuragkashyap72 https://t.co/x1UOyRwVpO pic.twitter.com/7osYR7C8qy
— 🇮🇳 Kauशाल Dubey (KD) 🚩 (@kaushaldubey38) February 15, 2020
সেদিনের জামিয়াতে পুলিশের তান্ডবে গুরুতর জখম হন বেশ কিছু পড়ুয়ারা। এক পড়ুয়ার চোখে গুরুতর চোট লাগে। জামিয়াকে কেন্দ্র করে এরপরে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়। জামিয়ার ৭ নম্বর গেটের সামনে দিনভর প্রতিবাদ দেখান পড়ুয়ারা। পরবর্তীকালে জামিয়ার সামনেই তৈরি হয় শাহিনবাগের মতো বড় প্রতিবাদ মঞ্চ। যা নিয়ে তোলপাড়় গোটা দেশ।