IANS C Voter Covid-19 Tracker: করোনা পরিস্থিতি ভালোভাবে পরিচালনা করছে মোদি সরকার, মনে করেন দেশের ৭৫.৮ শতাংশ জনগণ
নরেন্দ্র মোদি (Photo: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৩ সেপ্টেম্বর: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ বলে বিরোধীরা দাবি করলেও অন্য কথা বলছে সার্ভে। দেশের সংখ্যালঘু মানুষ মনে করছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঠিক ভাবেই মোকাবিলা করছে। আইএএনএস-সি ভোটার (IANS C Voter) কোভিড -১৯ ট্র্যাকার ট্র্যাকিংয়ের ছয় মাস পূর্ণ করার পরে, এটা স্পষ্ট যে করোনা পরিস্থিতি পরিচালনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি দেশের মানুষ বিশ্বাস দৃঢ়ই রয়ে গেছে। কারণ ৭৫.৮ শতাংশ মানুষ সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

গত ৬ মাস ধরে আইএএনএস-সি ভোটার কোভিড -১৯ ট্র্যাকার মহামারীকালীন সময়ে দেশের মনোভাব তুলে ধরেছে। কারণ এই মহামারী মানবজাতির ইতিহাসের অন্যতম নজিরবিহীন এবং বিপর্যয়কর ঘটনা। আইএএনএস-সি ভোটার কোভিড -১৯ ট্র্যাকার হল মহামারী, এর প্রভাব এবং জনগণের মেজাজ বুঝতে এক ধরণের পোল এবং ট্র্যাকার। আরও পড়ুন: India's COVID-19 Case Tally: ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা আক্রান্ত ৯৪,৩৭২, মৃত্যু ১,১১৪ জনের

১২ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, দেশের তিন চতুর্থাংশ জনগণ বলেছেন যে মোদি সরকার পরিস্থিতি ভালোভাবে পরিচালনা করেছে এবং সরকারি পদক্ষেপের ওপর আস্থা বজায় রয়েছে। ৭৫.৮ শতাংশ মানুষ মোদি সরকারের পরিচালনার সঙ্গে একমত। মাত্র ২০.৫ শতাংশ তাতে একমত নন। গত কয়েকদিন ধরে কোভিড -১৯ সংক্রমণ রেকর্ড হারে বাড়ছে। একদিনে ৯৫ হাজারেও বেশি মানুষ মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। সমীক্ষার সূচকে দেখা যায় যে ৫২.৭ শতাংশ মানুষের কাছে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময়ের জন্য রেশন এবং ওষুধ রয়েছে। ৪৭.৭ শতাংশের কাছে কম রেশন ও ওষুধ মজুত রয়েছে।

তবে কর্মসংস্থান এবং আয়ের দিক থেকে সমীক্ষায় পাওয়া উত্তর সুখের নয়। কারণ উত্তরদাতাদের মধ্যে ১৭.৪৩ শতাংশ বলেছেন যে তাঁদের পুরোপুরি চাকরি চলে গেছে। ২.৭৭ শতাংশ বলেছেন যে তারা পুরো সময়ের কাজ করতেন, কিন্তু এখন মাঝেমাঝে কাজ করছেন, ৪.৭৩ শতাংশ বলেছেন তাঁরা বিনা বেতনে কাজ করছেন বা কাজ স্থগিত রয়েছে এবং কোনও আয় নেই। প্রায় এক চতুর্থাংশ বা ২২.৯৪ শতাংশ বলেছেন যে তাঁরা বিধি নিষেধের মধ্যে কাজ করছেন, কিন্তু বেতন আয় কমেছে,। ২.৩৬ শতাংশ বলেছেন যে তাঁরা কাজ করছেন, কিন্তু বেতন বা আয় নেই, ১.২২ শতাংশ বলেছেন যে তাঁরা মাঝে মাঝে বেতন পাচ্ছেন এবং ৬.৮৮ শতাংশ বলেছেন যে তাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন তবে আয় / বেতন কমেছে। সুতরাং, অর্ধেক বা ৫১.৭৫ শতাংশেরও বেশি লোকের বেতন এবং আয় কমেছে। তবে ৫.৪২ শতাংশ বলেছেন যে তাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন এবং বেতন বা আয়ের একই রয়েছে। অন্যদিকে ২২.১৪ শতাংশ বলেছেন যে তাঁরা বিধি নিষেধ মেনে কাজ করছেন এবং আয় / বেতন একই রয়েছে।