নতুন দিল্লি, ২৭ জুলাই: ভারতে ফের ৪৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ (digital strike) হল। করোনাভাইরাসের জেরে বিশ্ব এক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে। গত বছর ডিসেম্বরে চিনেই প্রথম এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশ কোভিডের জন্য চিনকেই দোষারোপ করে আসছে। এর মধ্যে গত ১৪ জুন লাদাখের গলওয়ান ভ্যালিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লালফৌজের হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। আহতের তালিকায় রয়েছেন ৫০-এরও বেশি সেনা জওয়ান। চিনের এই অতর্কিত হামলার পর বেজিংয়ের উপরে বেজায় চটেছে নয়াদিল্লি। এর জেরে জুন মাসেই ৫৯টি চিনা অ্যাপ দেশবাসীর জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। এনিয়ে চিন উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সাউথ ব্লকের সিদ্ধান্তে কোনও নড়চড় হয়নি।
এদিকে লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে ফের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেজিং। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে হেলিপ্যাড বানাচ্ছে চিন। এই ঘটনায় বেজিংয়ের উপরে বেজায় চটেছে নয়াদিল্লি। বুধবারই আম্বালায় বায়ুসেনা বেসে পৌঁছাচ্ছে পাঁচটি যুদ্ধবিমান রাফাল। এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলি পূর্ব লাদাখের উদ্দেশ রওনা হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় ফের ৪৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল ভারত। কয়েকদিন আগেই নিষিদ্ধ হওয়া ৫৭টি চিনা অ্যাপের প্রস্তুতকারকদের কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারত। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যদি কেউ ব্যান সংক্রান্ত নিয়মকানুন লঙ্ঘন করে তবে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যেই ফের দ্বিতীয় বারের জন্য চিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক চালালো নয়াদিল্লি। আরও পড়ুন-Indian Railway: করোনাকালে সাশ্রয়, ব্রিটিশ আমলের 'ডাক মেসেঞ্জার' বাতিলের পথে ভারতীয় রেল
গত ২৯ জুন টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ার-ইট, উই-চ্যাট, ক্যামস্ক্যানার-সহ মোট ৫৯টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। যা চিনের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ বলে উল্লেখ করা হয়। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি ছিল, ভারতের সুরক্ষা, সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ দেশের সাধারণ মানুষের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আইনের ৬৯ক ধারায় এই সিদ্ধান্ত। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত সংঘাতের আবহে এই ঘোষণা স্বাভাবিক ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ।