Representative Image. Photo Source: Wikipedia

লখনউ, ৩১ মার্চ: 'রসগোল্লা চাই!' থানার SOS নম্বরে আচমকাই আসে একটা ফোন। আর তাতে এক বয়স্ক মানুষের 'বায়না' শুনে একটু থমকে গিয়েছিলেন হজরতগঞ্জের স্টেশন হাউজ অফিসার সন্তোষ সিং। কারণ লকডাউনের জেরে অনেক ফোন আসছে থানায়। কিন্তু এমন ফোন এর আগে হয়তো কখনও আসেনি থানায়। কিন্তু এটা শুধুই বায়না ছিল না। এই রসগোল্লা দিয়েই ওই বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচালেন ওই পুলিশ অফিসার।

রবিবার বিকেলে ফোনটি করেন রামচন্দ্র প্রসাদ কেশরি। বয়স ৮০-র কোঠায়। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। ডায়াবেটিসের হাইপোগ্লুকোমিয়ায় আক্রান্ত তিনি। আর সেই সময় একমাত্র রসগোল্লাই ছিল তাঁর প্রধান ওষুধ। ফোনে ওই প্রবীণ ব্যক্তির কথা শুনেই আর সময় নষ্ট করেননি তিনি। তাই একটু সময় নষ্ট না করেই সোজা রসগোল্লা কিনে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে যান সন্তোষ সিং। বাড়ি পৌঁছতেই পুলিশ অফিসারের হাত থেকেই পরপর ৪টি রসগোল্লা খেয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি। আরও পড়ুন: Covid-19: জেলাশাসকের নির্দেশে গোটা হাসপাতালই কোয়ারেন্টাইন 

লকডাউনের জন্য রসগোল্লা কিনতে পারছিলেন না ওই ব্যক্তি। তিনি একাই থাকেন বাড়িতে। ছেলে মেয়ে থাকলেও, তাঁরা কাজের সূত্রে থাকেন। ১৮ বছর ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তিনি। গত ৪ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। অবশেষে কোনও উপায় না পেয়ে থানায় ফোন করে সাহায্যের কথা জানান তিনি। ওই পুলিশ অফিসারের কথায়, "লকডাউনের জেরে দোকানপাট বন্ধ। যার জেরে প্রবীণ নাগরিকরা খুব সমস্যায় পড়ছেন। তাই এই ধরণের যেকোনও ফোনকেই আমরা গুরুত্ব সহকারে বিচার করি। এই ফোনটাও আসার পর আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করি কী মিষ্টি চাই ওনার। উনি রসগোল্লার কথা বলতেই আমি আমার এক বন্ধুকে ফোন করি এবং সেখান থেকে মিষ্টি কিনে মিনিট ২০-২৫-র মধ্যে আমরা পৌঁছে যাই ওনার বাড়িতে।"