কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধ সকলেরই জানা। এনপিআর, সিএএ ও এনআরসি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সমর্থন দূরে যাক, বারংবার তুলোধনা করতে ছাড়েননি মমতা। এমতাবস্থায় সেই মমতা ব্যানার্জি ২৪ তম পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন ভুবনেশ্বরে। শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি সেখানেই ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখানে কয়লার রয়্যালটি থেকে শুরু করে রেলের বিভিন্ন প্রকল্প ও মাওবাদী সমস্যা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হবে বলে খবর। তবে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূলনেতাদের চিটফান্ড কাণ্ড চাপা দিতেই অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “সামনে ভোট আসছে তাই ঘর গোছাতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। এতদিন ধরে কেন্দ্রের ডাকা একের পর এক বৈঠকে তিনি যাননি। আজ হঠাৎ কেন পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকে যোগ দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আসলে অমিত শাহর সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছেন। চিটফান্ড কাণ্ডতে তো তৃণমূল নেতারা ফেঁসে আছেন। এই পরিস্থিতিতে ফের সিবিআই তদন্ত শুরু হলে শাসকদলের মুখ পুড়বে। তাই আগেভাগে দরবার করতে ছুটলেন। তবে আমাদের নেতা এমন নয়, যে আপনি যাবেন আর সেটিং হয়ে যাবে।” এদিকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য শুনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি জানান অবান্তর কথা বলছেন বিজেপির সভাপতি। তাঁর কথার কোনও ভিত্তি নেই। এদিকে মমতা পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকে যাওয়া নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন অধীর চৌধুরি। তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে কবিতা লিখলেন। সেখানকার বাসিন্দাদের শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করলেন। অথচ কেন্দ্রের নিন্দা করলেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করলেন না। এখন যাচ্ছেন বৈঠকে যোগ দিতে। দিল্লির হিংসার ঘটনায় এই বৈঠক থেকে তাঁর সরে আসা উচিত। আরও পড়ুন-Sir John Tenniel Google Doodle: ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’-এর চিত্রকর স্যার জন টেনিলের ২০০ বছরের জন্মদিনে গুগলের শ্রদ্ধার্ঘ্য
বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, দিদি মোদির যে সম্পর্ক রয়েছে তা মমতা ব্যানার্জির পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে। বলাবাহুল্য, মমতা ব্যানার্জি কেন্দ্রের ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি। এনপিআর নিয়ে আলোচনা-সহ অনেকগুলি বৈঠকই বয়কট করেছেন। হঠাৎ কেন তিনি অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকে রাজি হলেন, তানিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।