নতুন দিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর: দেশজুড়ে পেঁয়াজসঙ্কটের (Onion Crisis) কারণে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (FM Nirmala Sitharaman) জানিয়েছেন, "সরকার বাইরে থেকে পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। অসময়ে অত্যধিক বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে বহু জায়গায় পেঁয়াজ খারাপ হয়ে গেছে।" প্ৰাকৃতিক দুর্যোগকেই পেঁয়াজ সঙ্কটের কারণ হিসেবে দায়ী করলেন নির্মলা সীতারামন।
তিনি আরও দাবি করেন অনেক জায়গাতেই পেঁয়াজের দাম কমছে। তবে আগামী দিনে খুব তাড়াতাড়ি পেঁয়াজের দাম (Onion Price Rise) আরও কমবে। তিনি আরও জানান, দলীয় মন্ত্রীরা এই বিষয়ে তদারকি করছেন। পেঁয়াজের দামের বিষয়টি তারা খেয়াল রাখছেন। ভবিষ্যতে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আরও পড়ুন, ভারত সফর স্বগিত করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে
FM: The price of onions has started going down at several places. It is not completely less, but it is going down. We've had a Group of Ministers' meeting which is reviewing on almost every 1-2 days' gap basis & deciding on how to further take up the import related issues. pic.twitter.com/97IcARcxRM
— ANI (@ANI) December 13, 2019
এবছর বেশিরভাগ পেঁয়াজের দাম পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। গতবছর খরিফ ঋতুর সময় ও খরিফ ঋতু শেষ হওয়ার পর ১০১.৩৫ টাকা প্রতি কেজি করে বেড়ে গেছিল পেঁয়াজের দাম। কিন্তু এবছর শুধুমাত্র গতমাসেই ৮১ শতাংশ বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। খাদ্য এবং উপভোক্তা মন্ত্রী দানভে রাওসাহেব দাদারাও জানিয়েছেন সারা ভারতে পেঁয়াজের দাম সর্বনিম্ন ১০১.৩৫ টাকা পর্যন্ত ছিল। গতমাসে সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৫.৯৫টাকা প্রতি কেজি। যেখানে গতবছর পেঁয়াজের দাম ছিল ১৯.৬৯ টাকা। কিছুদিন আগে কলকাতায় পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। ফলে মধ্যবিত্তের পক্ষে পেঁয়াজ কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ছোট ছোট রেস্তরাঁ, পাইস হোটেল, হোটেল গুলি থেকে পেঁয়াজ ব্যবহার কমিয়ে দেয়। চপের দোকান থেকে ইন্ডিয়ান কফি হাউসে পেঁয়াজি বিক্রিও বন্ধ হয়ে গেছে। এই টিরো হাহাকারে শীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে সত্যিই বিপদে পড়বে জনজাতি বলে আশঙ্কা।