নতুন দিল্লি, ১৭ জানুয়ারি: বৃহস্পতিবার তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandrashekhar Azad) বলেছিলেন তিনি শুক্রবার জামা মসজিদে যাবেন। আদালতের ঠিক করে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই এদিন মসজিদ প্রাঙ্গনে চলে যান চন্দ্রশেখর আজাদ। এই জামা মসজিদের সামনেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আই বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ভীম সেনাপ্রধান। এদিন জামা মসজিদের সিঁড়িতে বসেই সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন তিনি। তারপর তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জানান, “সিএএ-র বিরুদ্ধে লড়াই শুধু মুসলিমরা একা নয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আমাদের শক্তি। সর্বধর্মের মানুষ যাঁরা আমাদের সমর্থন করেন তাঁরা অবশ্যই এই আন্দোলনে যোগ দিয়েএমন একটা সংখ্যা তৈরি করুন যাতে সরকার বুঝতে পারে এটি শুধু মুসলিমদের আন্দোলন নয়।”
এদিন আগেই রবিদাস মন্দির, বাংলা সাহিব গুরুদ্বার ও গির্জায় ঘুরে এসেছেন। কোর্টের নির্দেশ মেনে এদিন রাত নটার আগেই রাজধানী ছাড়তে হবে চন্দ্রশেখর আজাদকে। যত দিননা দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন মিটছে ততদিন তিনি এখানে কোনও ধর্নার আয়োজন করতে পারবেন না বা কোনও ধর্নায় অংশ নিতে পারবেন না। এদিকে দিল্লি কোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, মুক্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আজদাকে একেবারে প্রহরার মধ্যে দিয়ে তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে পৌঁছে দিতে হবে। যদি বাড়ি যাওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লির কোথাও যেতে চান চন্দ্রশেখর আজাদ, পুলিশ কড়া প্রহরায় তাঁকে সেখানেই নিয়ে যাবে। ২০ ডিসেম্বর জামা মসজিদের সামনে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়ে গ্রেপ্তার হন চন্দ্রশেখর আজাদ। জামা মসজিদ থেকে যন্তরমন্তর পর্যন্ত গোটা এলাকায় মিছিল করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ভীম আর্মি, এই বিক্ষোভে পুলিশের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। আরও পড়ুন-Bhim Army Chief Chandrashekhar Azad: তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়েই শুক্রবার জামা মসজিদে ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ
মুক্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও রকম ধরনায় যোগ দেওয়া যাবে না-সহ বেশকিছু বিধিনিষেধের বেড়াজাল রেখেই চন্দ্রশেখরকে মুক্তি দিয়েছে দিল্লির তিস হাজারি কোর্ট। তবে এই বিধিনিষেধ নির্বাচন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। রাজধানীর সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতিও চন্দ্রশেখরের কাছে নেই। এদিকে মুক্তি পেয়েই আজাদ সাংবাদিকদের বলেন শুক্রবার তিনি দিল্লির জামা মসজিদ (Jama Masjid), রবিদাস মন্দির, গুরুদ্বার ও চার্চে যাবেন।