কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর: মঙ্গলবার ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। শেষমেষ পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পৌঁছতেই পারেননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছাড়ার পর আচার্য ছাড়াই সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার আগেই টুইটারে নিজের অপমানের কথা জানিয়ে দিয়ে গেলেন অভিমানী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে (CM Mamata Banerjee) ট্যাগ করে এদিন তিনি টুইটারে জানান, "আমি ভীষণ বিস্মিত বোধ করছি যে, উপাচার্যকে আমি রুলবই আনার নির্দেশ দিয়েছিলাম এবং সমাবর্তন সম্পর্কিত আমার নির্দেশ না মেনেই সমাবর্তন শুরু হয়ে গেল। একেবারে অসহায় হয়ে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাচ্ছি।" এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে রীতি অনুযায়ী আচার্য হিসাবে যোগ দিতে যান রাজ্যপাল। তখনই পড়ুয়াদের (Students) বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তাঁকে কালো পতাকা দেখান হয়। রাজ্যপালের গাড়ি ঘেরাও করে গতকালের মতই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যাদবপুরের পড়ুয়ারাদের দাবি তাঁরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এই আইনের সমর্থনে রাজ্যপালের প্রকাশ্য বিবৃতির প্রতিবাদেই তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তনে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপেরও প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা। আরও পড়ুন: Jadavpur University: রাজ্যপাল ছাড়াই শুরু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান, ফিরে গেলেন জগদীপ ধনখর
.@MamataOfficial. Am surprised that inspite of my directive to VC to go by rule book and abide by my direction as regards Convocation, the same has been started. In utter helplessness as of now I am leaving the Jadavpur University campus. Those concerned must soul search.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 24, 2019
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি, ‘অযথা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) স্বশাসনের বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন রাজ্যপাল।’ উল্লেখ্য, এই বছর বিশেষ সমাবর্তনে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার কথা রয়েছে কবি শঙ্খ ঘোষ, প্রাক্তন বিদেশ সচিব সলমন হায়দার, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক (Professor) সিএনআর রাও সহ আইএসআই অধিকর্তা সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।