নতুন দিল্লি, ১৮ জুলাই: বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (University) পরীক্ষা নিয়ে চরম সিদ্ধান্তে পৌঁছতে এখনও পরিস্থিতি টালমাটাল। পরীক্ষা পরিচালনার স্থিতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে ইউজিসি (UGC)। প্রতিক্রিয়ায় ৭৫৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে আরও ৩৬৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় অগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে, যারা পরীক্ষা নিতে ইচ্ছুক।
১২০ টি বিবেচিত, ২৭৪ টি বেসরকারী, ৪০ টি কেন্দ্রীয় এবং ৩২১ টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত নেওয়া হয়। অনলাইন, অফলাইন অথবা দুটি পদ্ধতিতেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। ইতিমধ্যে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনালাইনে ভাইভা ও প্রজেক্ট সাবমিশনের কাজ সেরে ফেলেছে। আগামী দু'মাসে শুরু হবে পরীক্ষা। আরও পড়ুন, ১০ অগস্ট থেকে অনলাইনেই শুরু হবে স্নাতকে ভরতির প্রক্রিয়া
Universities were approached to inform status of conduct of examination. Response received from 755 Universities (120 Deemed, 274 Private, 40 Central & 321 State). Of these 194 have already conducted examination & 366 are planning to conduct examination in August/September: UGC pic.twitter.com/2BnxpzDtEv
— ANI (@ANI) July 18, 2020
করোনা মহামারিকালে কেন পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সেই প্রশ্নে ফেটে পড়ছেন নেটিজেনরা। অনলাইন পরীক্ষায় নেটওয়ার্ক সার্ভারের সমস্যা এবং অফলাইন করোনাকালে খুবই বিপজ্জনক বলে জানান পড়ুয়ারা। ইউজিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। এদিকে রাজ্যগুলি এখনও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে পরিষ্কার নয়।
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এবং তা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। আগেই এমনটা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। পরীক্ষা, মূল্যায়ন ও ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষকদের প্রয়োজন মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজিরার নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের এই নিরন্তর টানাপড়েনে ছাত্রছাত্রীরা বিভ্রান্ত। উদ্বেগের এই আবহে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, পরীক্ষার ব্যাপারে কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকার বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যে পড়ুয়াদের দুশ্চিন্তা কাটছে না।