নতুন দিল্লি, ৬ ফেব্রুয়ারি: ১৯৯৯ সালে 'বিদেশিনী' সোনিয়া গান্ধী ইস্যুতে কংগ্রেস ছেড়ে জাতীয়বাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি গঠন করেছিলেন শরদ পাওয়ার। এনসিপি তৈরির সময় শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ছিলেন পিএ সাংমা, তারিক আনোয়ার। পার্টির নাম ঘোষণা করার পর শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, সময়ের দাবিতে তৈরি হয়েছে বলেই এনসিপি-র নির্বাচনী প্রতীক হবে ঘড়ি। ২৫ বছর পর সেই ঘড়ি হারিয়ে ফেললেন শরদ পাওয়ার। কাকা-ভাইপোর বিবাদে এনসিপি-র নির্বাচনী প্রতীক ভাইপো অজিত পাওয়ারকেই দিল নির্বাচন কমিশন। বিজেপির হাত ধরে ঘড়ি পরা অজিতই এখন আসল NCP। ৬ মাস ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনার পর কমিশনের যুক্তি হল,এনসিপি-র বেশীরভাগ জনপ্রতিনিধি (বিধায়ক, সাংসদ) অজিত পাওয়ারের সঙ্গে আছেন। তাই দলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে অজিতই এনসিপি-র আসল ব্যাটন পাচ্ছেন। এনসিপি-র দুই গোষ্ঠীর বিবাদে বিজেপির পক্ষে থাকা অজিত পাওয়ারকেই প্রতীক দিল কমিশন।
ঠিক যেভাবে শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক তির-ধনুক একনাথ শিন্ডেকে দিয়েছিল কমিশন। উদ্ধব ঠাকরের পর এবার নির্বাচনী প্রতীক হারালেন শরদ পাওয়ার। এনসিপিতে শরদ পাওয়ার মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে চিরকালই টানাপোড়েন ছিল অজিত পাওয়ারের।
দেখুন খবরটি
EC settles the dispute in the Nationalist Congress Party (NCP), rules in favour of the faction led by Ajit Pawar, after more than 10 hearings spread over more than 6 months.
Election Commission of India provides a one-time option to claim a name for its new political formation… pic.twitter.com/1BU5jW3tcR
— ANI (@ANI) February 6, 2024
গত বছর জুলাইয়ে একনাথ শিন্ডের মডেলে এনসিপি-তে বিদ্রোহ করে দলের ৩২ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপির হাত ধরে মহারাষ্টের উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পাওয়ার। জল্পনা ছিল, দল ভাঙিয়ে আসার পুরস্কার হিসেবে বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হবেন অজিত পাওয়ার। কিন্তু এখনও তেমন পরিস্থিতি হয়নি। শোনা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের পর পরিস্থিতি বুঝে মারাঠা সিংহাসনে মোদী-শাহ-রা শিন্ডেকে সরিয়ে অজিতকেই বসাবেন।