প্রতীকী ছবি (Photo Credits: PTI)

বিরোধী জোটের পক্ষে এবার বড় কথা বললেন কংগ্রেসের সাধারণ সচিব কেসি ভেনুগোপাল। ভেনুগোপাল সাফ জানালেন, "আমরা বিরোধী দলগুলির ঐক্যের বিষয়টাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি। রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জন খাড়গে সঠিকভাবেই বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কথা বলেছেন যে কংগ্রেস একা এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে পারবে না।"

এরপর ভেনগোপাল বলেন, "স্বৈরাচারী সরকারকে সরাতে আমরা সব কিছু ভুলে বিরোধী ঐক্য চাই। কংগ্রেস তো লড়বেই কিন্তু স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিকভাবে চলা সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে বিরোধী দলকে এক হয়ে নামতে হবে। যেভাবে মিডিয়া সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে খারাপভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে, সব কিছুরই জন্য এই অপশক্তিকে হারাতে দরকার বিরোধী জোট। আরও পড়ুন-খনি কেলেঙ্কারি, ছত্তিশগড়ে একাধিক কংগ্রেস নেতার বাড়িতে তল্লাশি ইডির

দেখুন টুইট

২০১৪ সালেও দেশের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু একের পর এক নির্বাচনী বিপর্যয়ে দেশকে সবচেয়ে বেশী বছর শাসন করা দল এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। ২০১৪, ২০১৯-পরপর দুটি লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেস মাত্র তিনটি রাজ্যে একক শক্তিতে ক্ষমতায় আছে- রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও হিমাচলপ্রদেশে। ইউপিএ- ক্ষমতায় আছে তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে। কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তেলঙ্গানা সহ বেশ কিছু রাজ্যে হাত চিহ্ন কার্যত মুছে গিয়েছে।

এমন অবস্থায় বিজেপি-কে কংগ্রেসের থেকেও বেশী সমস্যা ফেলেছে তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, টিআরএস (অধুনা বিআরএস), সমাজবাদী পার্টি-র আঞ্চলিক দলেরা। বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যায়নি তৃণমূল, আপ, টিআরএস-এর মত দলেরা।