নতুন দিল্লি, ১১ ডিসেম্বর: সারাদিন তর্কবিতর্কের পর অবশেষে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill)। পক্ষে ১২৫ টি ভোট এবং ১০৫ টি বিপক্ষে ভোট এসেছে। বুধবার সংসদ পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে নিপীড়িত হয়ে চলে আসা অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের এই আইনকে অনুমোদন দিয়েছে। এই বিল অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, ও খ্রিস্টানরা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এই বিলটি অনুযায়ী এদেশে ৬ বছর বসবাস করতে হবে।
আজ অনায়াসেই যে রাজ্যসভায় বিল পাস করানো যাবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ ছিল না কেন্দ্রের মোদি সরকারের। বিরোধীরাও এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, রীতিমতো তৈরি হয়েই আজ লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল যুযুধান দুই পক্ষ। আজ রাজ্যসভায় বিলটি পাস করতে হলে ২৪৫ জনের মধ্যে ১২০ টি ভোট এর পক্ষে যেতে হত। শেষপর্যন্ত শিবসেনা ভোট বয়কট করে। ভোটাভুটি হলে দেখা যা বিলের পক্ষে পড়েছে ১২৫টি ভোট। অন্যদিকে বিপক্ষে পড়েছে ১০৫টি। আরও পড়ুন, বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব অমিত শাহর, "শুধুমাত্র মুসলিমদের নিয়েই কেন এত উদ্বেগ?"
#CitizenshipAmendmentBill2019 passed in Rajya Sabha;
125 votes in favour of the Bill, 105 votes against the Bill pic.twitter.com/P10IqkSlCs
— ANI (@ANI) December 11, 2019
আজ অমিত শাহ (Amit Shah) জানিয়ে দিয়েছিলেন , ধর্মের ভিত্তিতেই দেশভাগ হয়েছিল। দেশভাগ না হলে বিলের প্রয়োজন হত না। পাকিস্তান- বাংলাদেশে মুসলিমরা আক্রান্ত। মুসলিমদের নিয়ে এত চিন্তা কেন? ভোট ব্যাঙ্কের জন্য এই বিল নয়। সংখ্যালঘুদের এই বিল কোনওভাবেই আঘাত করবে না। আগের ভুল ঠিক করতে এই বিল। কংগ্রেস কেন দেশভাগ মেনেছিল? শ্রীলঙ্কা থেকে শরণার্থীরা এসেছিল। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল।" এছাড়াও তিনি জানান, অসমের ভাষা, সংষ্কৃতি কোনও কিছুই এর ফলে আঘাত পাবে না।"
এদিকে ক্ষুব্ধ অসম ও ত্রিপুরা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। বিলটি পাস হওয়ার পর কী পরিস্থিতি হয় তাই এখন তা দেখার।