পেঁয়াজ (Photo Credits: Pixabay)

নতুন দিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর: দেশজুড়ে চলতি নানান চাপানউতোরের মধ্যেই সুখবর দিল কেন্দ্র সরকার। বছর শেষের সেই সুখবর হল পেঁয়াজের (Onion) ঝাঁঝ এবার কমতে চলেছে। না, দাম কমার কোন ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় তরফে। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেঁয়াজের ঘাটতিতে আমজনতার নাজেহাল অবস্থা থেকে স্বস্তি দিতে তুরস্ক (Turkey) থেকে পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করা হয়েছে। যারফলে পেঁয়াজের ঘাটতি মিটতে পারে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ১২,৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পেতে চলেছে দেশ।

তবে সর্বমোট ৪২,৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আনার চুক্তি হয়েছে ভারতের সঙ্গে তুরস্কের। এদেশে পেঁয়াজের কম বেশি ১৫০ টাকার উপরে। মিশরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, মায়ানমারের ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, তুরস্কের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। এদিকে ভারত (India) থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমদানি। তাই চাহিদা মেটাতে নেপালে (Nepal) রাজত্ব এখন চিনা পেঁয়াজের (Chinese Onion)। সূত্রে খবর, নেপালে ভীষণভাবে রয়েছে পেঁয়াজের চাহিদা। তাই ভারত থেকে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন নেপালের বাজার দাপাচ্ছে চিনা পেঁয়াজ। চলতি বছরের নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য হতে শুরু করে ভারতে। পাইকারি আড়তে এখন সবচেয়ে বেশি আসছে চিন থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। সাধারণ পেঁয়াজ ছিল আকারে অনেক বড়। সে কারণে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা বিয়ের অনুষ্ঠানে (Marriage) সবচেয়ে বেশি সরবরাহ হতো ওই পেঁয়াজ। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারত সহ ওই সমস্ত দেশের বাজার দখল করছে ছোট আকারের চিনা। যেগুলির দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা। আরও পড়ুন: Chinese Onion: ভারত থেকে বন্ধ আমদানি, নেপাল দাপাচ্ছে চিনা পেঁয়াজ!

সাধারণ পেঁয়াজের আকার ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার। একটি পেঁয়াজের ওজন ছুঁত এক কেজি। কিন্তু এই চিনা পেঁয়াজের আকার ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার। এক কেজিতে হবে ধরছে ৮ থেকে ১০টি।