কাঠমান্ডু, ১৭ ডিসেম্বর: ভারত (India) থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমদানি। তাই চাহিদা মেটাতে নেপালে (Nepal) রাজত্ব এখন চিনা পেঁয়াজের (Chinese Onion)। সূত্রে খবর, নেপালে ভীষণভাবে রয়েছে পেঁয়াজের চাহিদা। তাই ভারত থেকে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন নেপালের বাজার দাপাচ্ছে চিনা পেঁয়াজ।
চলতি বছরের নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য হতে শুরু করে ভারতে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম কম-বেশি ১৫০ টাকা। কোথাও আবার এর থেকেও বেশি। তবে শুধু ভারত নয়, পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁতে শুরু করেছে অন্যান্য দেশগুলিতেও। যে তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, মিশর, তুরস্কের মত দেশগুলি। পাইকারি আড়তে এখন সবচেয়ে বেশি আসছে চিন থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। সাধারণ পেঁয়াজ ছিল আকারে অনেক বড়। সে কারণে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা বিয়ের অনুষ্ঠানে (Marriage) সবচেয়ে বেশি সরবরাহ হতো ওই পেঁয়াজ। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারত সহ ওই সমস্ত দেশের বাজার দখল করছে ছোট আকারের চিনা। যেগুলির দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা। আরও পড়ুন: Pervez Musharraf: দেশদ্রোহিতা মামলা: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ড
সাধারণ পেঁয়াজের আকার ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার। একটি পেঁয়াজের ওজন ছুঁত এক কেজি। কিন্তু এই চিনা পেঁয়াজের আকার ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার। এক কেজিতে হবে ধরছে ৮ থেকে ১০টি। উল্লেখ্য, বাংলায় কম দামে পেঁয়াজের জোগান দিতে 'সুফল বাংলা' (Sufal Bangla) প্রকল্পের হাত ধরে পেঁয়াজ পাচ্ছেন রাজ্যবাসী। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে 'সুফল বাংলা'-র স্টলে মিলছে না পেঁয়াজ। মিশরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, মায়ানমারের ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, তুরস্কের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকা।