লখনউ, ২৮ ডিসেম্বর: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) প্রায় ১০,০০০ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর কেস ফাইল করে। কেস ফাইলে কারও নাম লেখা নেই। গত ১৫ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার ফলে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ ও পড়ুয়াদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পড়ুয়াদের (Students) ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করা হয়।
দিন প্রায় ৬০ জন পড়ুয়া আহত হয়েছিলেন। অনেকে রাবার বুলেটের আঘাতেও আহত হয়েছিলেন। ডিসেম্বর ১৫ তারিখের পর থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ এরপর আরও বাড়তে থাকে এবং ভয়ানক রূপ নেয়। আটজন পড়ুয়াসহ মোট ২৬ জনকে এইদিন আটক করা হয়। এরপর বন্ডে সাক্ষর করে তাঁরা ছাড়া পেয়ে যান।
Case registered against 10,000 unidentified students of Aligarh Muslim University in connection with violence which broke out during protests against #CitizenshipAmendmentAct on December 15
— ANI UP (@ANINewsUP) December 28, 2019
এরআগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ১২০০ জন ছাত্রছাত্রী যারা মোমবাতি মিছিলে হেঁটে প্রতিবাদ করছিলেন তাদের ওপর এফআইআর করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের। ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ১৮৮ এবং ৩৪১ তাদের ওপর এই ধারাগুলি দিয়ে এফআইআর করা হয়। একমাত্র উত্তরপ্রদেশে এত সংখ্যক বিক্ষোভকারীর ওপর এফআইআর ও কেস ফাইল করা হয়। যোগী সরকার আবার উত্তরপ্রদেশের সকল বিক্ষোভকারীদের শায়েস্তা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।