দিল্লি, ১৫ মার্চ: বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা শরণার্থীরা এবার প্রতিবাদ শুরু করলেন ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) লাগুর পর ইন্ডিয়া জোটের নেতা এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব পাকিস্তান, আপগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান বলে খবর। সেই ঘটনার প্রক্ষিতেই এবার ইন্ডিয়া জোটের নেতা এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওই ৩ দেশ থেকে আসা মানুষ। দিল্লিতে (Delhi) অশোক রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে সিএএ নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন পাকিস্তান (Pakistan), আফগানিস্তান (Afghanistan) এবং বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে আসা মানুষজন।
দেখুন ভিডিয়ো...
#WATCH | Refugees from Pakistan and Afghanistan breach barricades during their protest in Delhi against the INDIA alliance and Congress leaders over their statements on the implementation of CAA.
(Visuals from Ashoka Road, near AICC headquarters) pic.twitter.com/XSMqT8reqm
— ANI (@ANI) March 15, 2024
প্রসঙ্গত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগুর পর বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগতে শুরু করেন বিরোধীরা। আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশ্ন তোলেন, দেশের বহু মানুষ বেকার। তাহলে তাঁদের চাকরি নিয়েই কি শরণার্থীদের রোজগেরে করা হবে! শুধু তাই নয়, সিএএ কার্যকর হলে, দেশভাগের সময় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার চেয়েও জটিল আকার ধারন করবে ঘটনাক্রম। এমনই দাবি করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
কেজরিওয়ালের পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নও সিএএ লাগু নিয়ে তোপ দাগেন। এই সব রাজ্যগুলিতে কোনওভাবে সিএএ লাগু করতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানান মমতা, স্ট্যালিন, বিয়জনরা।
পাশাপাশি বাংলায় ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে স্ট্যালিন বলেন, সিএএ মানে মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ তৈরি। পিনরাই বিজয়নও বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেন, তাঁরা সিএএ-র সামনে মাথা নত করবেন না। সবকিছু মিলিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগুর পর থেকে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা বিরোধিতা শুরু করেন। যার বিরুদ্ধে এবার বিক্ষোভ দেখালেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা শরণার্থীরা।