মুম্বই, ২৩ ডিসেম্বর: দ্বিতীয়বার বিয়েতেও কোনও প্রভাব পড়বে না। প্রথম স্বামী যদি গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তবে জীবন বিমার টাকার সবটাই পাবেন বিধবা স্ত্রী। তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেও এই ক্ষতিপূরণের কোনও হেলদোল হবে না। বরং কোনও কারণে যদি টাকা দিতে বিমা সংস্থা গড়িমসি করে এবং সময় নেয় তাহলে বর্তমানে টাকার মূল্য হিসেবে সুদে আসলে ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে হবে। রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট। ২০০৭ সালে পথদুর্ঘটনায় স্বামীকে হারানোর এক বছরের মধ্যেই ফের বিয়ে করেন ওই মহিলা। তবুও তাঁকে দিতে হবে বিমার ৩০ লক্ষ টাকা। আজ রায় দিয়ে জানিয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট।
বিচারপতি আরডি ধানুকা মোটর অ্যাকসিডেন্ট ক্লেম ট্রাব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন ওই মহিলাকে তাঁর প্রাপ্য ক্ষতিপূর্ণ হিসেবে ২৯ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যা এতদিনে সুদে আসলে বেড়ে তিন লক্ষ টাকা হয়েছে। এদিন এজলাসে বিমা সংস্থা জানিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় মৃত মহেন্দ্র সোনাওয়ানের স্ত্রী সুষমা তাঁর স্বামীর উপার্জনের উপরে নির্ভরশীল ছিলেন না। তাই তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া স্বামীর মৃত্যুর পরে পরেই তিনি আবার বিয়ে করেন। তাঁর একটি দশ বছরের ছেলেও রয়েছে। এর উত্তরে আদালত জানায়, যেদিন বিধবা সুষমাদেবী মোটর অ্যাকসিডেন্ট ক্লেম ট্রাইব্যুনালে যেদিন ক্ষতিপূরণ দাবি করেন সেদিন কিন্তু ভূতপূর্ব স্বামীর উপরাজ্নের উপরেই নির্ভরশীল ছিলেন ওই মহিলা। সেই দিনটিকে মান্যতা দিয়েই রায় দেওয়া হল। আরও পড়ুন-Jharkhand Assembly Election Results 2019: ‘ট্রেন্ডে বিশ্বাস করি না, ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়ছে বিজেপি’; বললেন রঘুবর দাস
২০১৭-র ২১ ফেব্রুয়ারি নাসিকে সকাল সাড়ে ছটার নাগাদ মায়ের সঙ্গে গাড়িতে যাওয়ার সময় মুখোমুখি ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারান মহেন্দ্র সোনাওয়ানে। তাঁর মায়েরও ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। গাড়িটে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে তাঁদের আবত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরে দুর্ঘটনাস্থলে ক্রেন আনিয়ে গাড়িটিকে কেটে দুজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ছেলেকে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে যান সুষমাদেবী। জানান তাঁর স্বামী যে সংস্থায় কাজ করেন সেখানকার ডিরেক্টরের নির্দেশেই দেড় লক্ষ টাকার ফুল বিদেশে পাঠানোর কাজে যাচ্ছিলেন। পথেই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর ট্রাইব্যুনাল ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশে দেয়। এতদিনে সেই টাকা পেতে চলেছেন সুষমাদেবী।