নতুন দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর: বার বার পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সেনা তৎপর হচ্ছে। এদিকে শেষবারের আক্রমণের ঘটনায় চিনা দূতাবাসের দাবি, ভারতীয় সেনাই নাকি লালফৌজের উপরে হামলা করেছে। এমনকী গত ৭০ বছরের ভারতের কোনও অংশই চিন দখল করেনি, এমনও দাবি করা হয়েছে। এই প্রশ্নে ড্রাগনবাহিনীকে একহাত নিলেন বিজু জনতা দলের সহসভাপতি তথা সাংসদ প্রসন্ন আচার্য (Prasanna Acharya)। ভারতীয় সেনা লালফৌজকে লাদাখের চুমার এলাকার মাটিতে দাঁত ফোটাতে দেয়নি। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেডি সাংসদ বলেন, “চিনকে বুঝতে হবে যে এটা ১৯৬২ নয় ২০২০ সাল।” দক্ষিণ-পূর্ব লাদাকের সীমান্ত চৌকি হল এই চুমার।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে প্রসন্ন আচার্য বলেন, “এ হল ভারতীয় সেনার সাহসিকতা যে তারা চিনের একের পর এক ষড়যন্ত্রকে বার বার ব্যর্থ প্রতিপন্ন করছে। চিনের সরকারের মনোভাব যেমন সহজ নয় তেমনই ওদের লালফৌজও খুব হিংস্র। অন্যদের জমি দখল করাই চিনের উদ্দেশ্য বিশেষ করে ভারতের ভূখণ্ড দখল করা। তবে তাদের ভুললে চলবে না যে এটা ১৯৬২ নয় ২০২০ সাল। ১৯৬২-র পরিস্থিতি আর বর্তমান পরিস্থিতি যথেষ্ট আলাদা। এই ৬০ বছরে ভারত সেনাবাহিনীতে কূটনৈতিকতায় যথেষ্ট উন্নতি করেছে। চিন সরকারের জানা উচিত যে ভারত এখন এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষমতা রাখে। সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ভারতকে আরও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে নেপালের মতো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটাতে হবে।” আরও পড়ুন-Pramod Sawant: করোনা আক্রান্ত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে
একদিন আগেই ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে। তবে লালফৌজকে তুরন্ত জবাব দিতে দেরি করেনি ভারতীয় সেনা। এরপরেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে চিনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে সীমান্তে লালফৌজ যেভাবে উস্কানিমূলক আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া ব্রিগেডিয়ার ও কূটনৈতিক বৈঠকের প্রয়াসে জল ঢেলে দিচ্ছে। বরং চিনের উচিত তাদের যুদ্ধবাজ সেনাকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া থেকে নিয়্ন্ত্রণ করা। এদিকে শান্তিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে পশ্চিম সেক্টরের প্রকৃত নিয়্ন্ত্রণরেখার সমস্যা মেটাতে ভারত কঠোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ