দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তরজা। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি হতে চলা দেশের রাজধানীর ভোটে যুযুধান দুই পক্ষ- আম আদমি পার্টি ও বিজেপির মধ্যে রোজই বাকযুদ্ধ চলছে। ভোটের ময়দানে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও বাকযুদ্ধে পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। দিল্লি নির্বাচনে ইতিমধ্যেই একের পর এক কু মন্তব্য করে খবরে এসেছেন বিজেপি নেতা তথা কালকাজি কেন্দ্রের প্রার্থী রমেশ বিধুরি। তিনি ভোটে জিতলে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গালের মত মসৃণ রাস্তা করার দাবি থেকে মুখ্যমন্ত্রী অতিশি বাবার নাম বদলে ফেলেছেন এমন কু মন্তব্য করা রমেশ বিধুরি-কে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সব মহলেই।
দিল্লিতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন রমেশ বিধুরি?
মহিলা ভোটের দিকেই সবার নজর, অথচ মহিলা নেত্রীদের রুচিহীন ভাষায় আক্রমণ নিয়ে বিজেপির একাংশও প্রাক্তন সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া রমেশ বিধুরিরও উপর অসন্তুষ্ট। এমন সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভরা সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করলেন, তাদের করাছে খবর আছে আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দু-একদিনের মধ্যেই রমেশ বিধুরির নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবে। কটাক্ষের সুরে রমেশ বিধুরিকে এই জন্য আগাম অভিনন্দনও জানিয়েছেন কেজরি।
বিধুরির সঙ্গে সরাসরি বিতর্ক চান কেজরিওয়াল
এমন দাবির পর কেজরিওয়াল একধাপ এগিয়ে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রমেশ বিধুরীর নাম ঘোষণা করলে আমি সরসারি ওঁর সঙ্গে বিতর্কে বসতে চাই। মানুষের জানা উচিত দিল্লির উন্নয়নের জন্য আপ ও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের পরিকল্পনা ঠিক কী। সাংসদ থাকাকালীন রমেশ বিধুরি দিল্লির উন্নয়নের জন্য কী করেছেন সেই হিসেবও চেয়েছেন আপ প্রধান।
কিরণ বেদি, মনোজি তিওয়ারিরা ব্যর্থ হয়েছিলেন
প্রসঙ্গত, ২০১৫ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কিরণ বেদি ও ২০২২ নির্বাচনে মনোজ তিওয়ারিকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপি। তাই অনেকেই মনে করছেন, মহারাষ্ট্র,হরিয়ানা কিংবা ঝাড়খণ্ডের মত এবার দিল্লিতে নির্বাচনের আগে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করে লড়বে না বিজেপি। বিধুরীকে নিয়ে বিজেপি-কে চাপে রাখতেই কেজরি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহলের ধারনা।
কে এই রমেশ বিধুরি
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বের লোকসভা চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বাগ্বিতণ্ডা চলাকালীন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি বিরোধী দলের সাংসদ দানিশ আলি-কে উদ্দেশ্য করে কু-মন্তব্য করেন। দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার পর সেই সময় ইউপি-র বিএসপি-র সাংসদ দানিশ আলি-র কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে বাধ্য হন দিল্লির সাংসদ রমেশ। এরপর লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিল্লি থেকে রমেশ বিধুরিকে আর প্রার্থী করেনি বিজেপি।