Credit: Wikimedia Commons

শুষ্ক চোখের সমস্যা তখন হয় যখন চোখ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল বের করে না যাতে আর্দ্র থাকে অথবা যখন চোখের জল যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্র করে না। এমন পরিস্থিতিতে চোখে অস্বস্তিকর বোধ হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি দৃষ্টি সমস্যাও তৈরি করতে পারে। বর্তমান যুগে ল্যাপটপ এবং মোবাইলের ক্রমাগত ব্যবহারের কারণে এই সমস্যাটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যাটি দীর্ঘ সময় ধরে উপেক্ষা করা হলে কিছু সময় পরে চোখ খুলে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, এর চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের জন্য কী করা উচিত জেনে রাখা উচিত।

শুষ্ক চোখের রোগের অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন হরমোনের পরিবর্তন, অটোইমিউন রোগ, অ্যালার্জি, কম অশ্রু উৎপাদন। এছাড়াও, ভিটামিন এ, বি১২ এবং ডি এর অভাবের কারণেও চোখ শুষ্ক হতে পারে। এছাড়াও, কিছু ওষুধ যেমন রক্তচাপের ওষুধ, অ্যালার্জিক ওষুধ এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টও এই অবস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে। এছাড়াও, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং এসি ব্যবহারের কারণে চোখের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। শুষ্ক চোখের রোগের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চোখ জ্বালাপোড়া, চুলকানি, লালভাব, ক্লান্তি এবং হালকা ফোলাভাব। কখনও কখনও এই লক্ষণগুলি চোখ দিয়ে জল পড়ার আকারে দেখা দেয়। কিন্তু এই জলে চোখের জলের সঠিক স্তর নেই, তাই এটি চোখে সঠিক আর্দ্রতা সরবরাহ করতে সক্ষম হয় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের পলক কম পড়া এবং মাঝে মাঝে স্ক্রিন থেকে বিরতি না নেওয়া শুষ্ক চোখের রোগের প্রধান কারণ। তাই, দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে কাজ করার পরিবর্তে, মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া এবং চোখ উপরের দিকে ঘুরিয়ে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও, ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা উচিত এবং অন্ধকারে দীর্ঘক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকানো এড়িয়ে চলা উচিত। শুষ্ক চোখের রোগের চিকিৎসায় নতুন ধরণের লুব্রিকেন্ট এবং সাইক্লোস্পোরিন চোখের ড্রপ কার্যকর হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, চোখ পরিষ্কার, উষ্ণ কম্প্রেস এবং চোখের পাতার স্ক্রাবের মাধ্যমেও উপশম পাওয়া যেতে পারে।