Shaheen Shah Afridi, Shadab Khan and Haris Rauf (Photo Credit: The Hubdred/ X)

Pakistan Players Unsold: সম্প্রতি দ্য হান্ড্রেডের পঞ্চম সংস্করণের ড্রাফট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে আটটি দলই আসন্ন মরসুমের জন্য তাদের স্কোয়াড তালিকা জানিয়ে দিয়েছে। জেমি ওভারটন, নূর আহমেদ এবং ডেভিড মিলারের মতো খেলোয়াড়রা এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। তবে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি জেমস অ্যান্ডারসনও আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে জায়গা না হওয়ায় বেশ প্রশ্ন উঠলেও ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে অন্য ঘটনা। অ্যান্ডারসন ছাড়া নাসিম শাহ ও সাইম আয়ুবের মতো পাকিস্তানি তারকারা কোনো দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় ৪৫ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড় ড্রাফটের জন্য নাম দিলেও তাদের মধ্যে কেউই নির্বাচিত হননি, যা অনেক ক্রিকেট প্রেমীদের মনে অনেক প্রশ্ন তুলেছে। ড্রাফটের পর একটা বিষয় পরিষ্কার যে, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের কাউকে দলে নেওয়ার পেছনে কারণ তাদের ফর্ম হতে পারে। এটি সত্য যে তাদের দলের বেশিরভাগ সদস্য দলে ভালো করার জন্য লড়াই করছেন। The Hundred Draft 2025: ঘোষিত দ্য হান্ড্রেড ২০২৫ ড্রাফট! একনজরে আট দলের সম্পূর্ণ স্কোয়াড

পাকিস্তানের ৪৫ জন ক্রিকেটারের একজনকেও কিনল না কেউ!

তবে বর্তমান যুগের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান সাইম আয়ুব তার চোট থেকে সেরে উঠেছেন। তবে তার অবিক্রিত থেকে যাওয়া অনেকের ভ্রু কুঁচকে দিয়েছে। এবার কিছু মিডিয়া রিপোর্টে যুক্তি তৈরি করা হচ্ছে এই বলে যে দ্য হান্ড্রেডে সাম্প্রতিক প্রাইভেট কোম্পানির বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। প্রথমবার ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার ঘরোয়া লিগে বিনিয়োগের বেশিরভাগই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা রয়েছেন। আটটি দলের মধ্যে চারটি আইপিএল মালিক এমআই, এসআরএইচ, এলএসজি এবং ডিসি রয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ওভাল ইনভিন্সিবলসের ৪৯% শেয়ার কিনেছে, অন্যদিকে লখনউ সুপার জায়ান্টস পরিচালনাকারী সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থা আরপিএসজি গ্রুপ ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের ৭০% শেয়ার কিনছে। এদিকে, কাব্য মারান সমর্থিত সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নর্দার্ন সুপারচার্জারদের ১০০% কিনছে এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের সহ-মালিকানাধীন জিএমআর গ্রুপ সাদার্ন ব্রেভের ৪৯% শেয়ার কিনছে।

এই নিয়ে কারণ দেখানো হচ্ছে যে, যেহেতু মুম্বই জঙ্গি হামলার কারণে ২০০৯ সাল থেকে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইপিএল। তাই মালিকরাও তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের জন্য পাকিস্তানি তারকা কেনা এড়িয়ে চলেছেন। যদিও এই নিয়ে কোনো আসল খবর আসেনি। যা এসেছে সবই জল্পনা এবং গুঞ্জন। তবে একটি যুক্তি রয়েছে যে আগামী জুলাই-আগস্টের দিকে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ রয়েছে। জাতীয় দলের জন্য ব্যস্ত আসন্ন সূচির কথা মাথায় রেখে, পিসিবি তাদের সমস্ত ফর্ম্যাটের খেলোয়াড়দের ২১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে বিশ্রাম দেখতে চায়। এছাড়া পিসিবি খেলোয়াড়দের স্বাক্ষরিত তিন বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে প্রতি বছর দুটি বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অনুমতি দিয়েছে।