দেরাদুন, ৮ ফেব্রুয়ারি: রবিবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ভেঙে পড়ল হিমবাহ (Uttarakhand Glacier Burst)। সেই বিপর্যয়ে একেবারে ধুয়েমুছে গেছে যোশীমঠ এলাকা। জলের তোড়ে ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। একের পর এক দেহ উদ্ধার চলছে। এই প্রসঙ্গে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পাণ্ডে বক্তব্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। তিনি বলেছেন, “আইটিবিপির জওয়ানরা একটি সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ১২ জনকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে। এখন দ্বিতীয় সড়ঙ্গে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেখানে প্রায় ৩০ জন আটকে পড়েছেন।” স্থানীয় প্রশাসনের তরফে খবর, প্রায় ১৭০ জনের খোঁজ মিলছে না। সেকারণেই দ্বিতীয় সুড়ঙ্গে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন-Suriya Tests Positive For COVID-19: এবার করোনাভাইরাস পজিটিভ দক্ষিণী সুপারস্টার সূর্য
আইটিবিপির কাছে খবর আছে যে দ্বিতীয় সুড়ঙ্গে প্রায় ৩০ জন আটকে আছে। সুড়ঙ্গ পরিষ্কার করতে আইটিবিপির প্রায় ৩০০ জওয়ানকে নিয়োগ করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান। প্রয়োজনে আরও অনেক জওয়ানকে উদ্ধারকাজে লাগানো হবে। তবে উদ্ধারে প্রথমে প্রাধান্য পাবেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া বাসিন্দারা। এক টুইট বার্তায় চামোলি পুলিশ জানিয়েছে, একটি সুড়ঙ্গে এখন উদ্ধারকাজ চলছে। জেসিবি মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতরে পরিষ্কার করার কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৫ জনের মৃতদেহও উদ্ধার হয়েছে।
We've intensified search operation at the 2nd tunnel. We've information that around 30 people are trapped there. Around 300 ITBP jawans are deployed to clear the tunnel. Local administration says that around 170 people are missing: Vivek Pandey, ITBP Spokesperson #Uttarakhand pic.twitter.com/Ab28klDcoB
— ANI (@ANI) February 8, 2021
রবিবার সকালে জোশীমঠের কাছে তুষারধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে যায়। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যায়। ভেঙে যায় সেতু। দুপুর পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ ১৫০ জন শ্রমিক। এঁরা তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। প্রশাসনের আশঙ্কা এঁদের কেউই হয়তো বেঁচে নেই। সংবাদসংস্থা এএনআইকে উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, আটকে পড়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনেকেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত রবিবার দুপুরেই ধসে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির তথ্য জানার জন্য সাহায্য চাওয়ার নম্বর (হেল্পলাইন) প্রকাশ করেছেন। একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যদি ঘটনাস্থলে কেউ আটকে পড়ে থাকেন তবে তাঁরা ১০৭০ অথবা ৯৫৫৭৪৪৪৪৮৬ নম্বরে যোগাযোগ করুন”।