মুম্বই, ৯ এপ্রিল: জয়া বচ্চন ভাদুড়ি (Jaya bachchan)। সাধারণ বাঙালি পরিবারের মেয়ে হয়েও বি-টাউনে 'রাজ' করতেন তিনি। ৯ এপ্রিল জন্মদিন তাঁর, এই দিনেই মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জয়া। তাঁর বাবা ছিলেন বিখ্যাত সাংবাদিক তরুণকুমার ভাদুড়ি এবং মা ইন্দিরা ভাদুড়ি। তরুণকুমার ভাদুড়ির এক বিখ্যাত বই ছিল অভিশপ্ত চম্বল। যে বইটা থেকে বহু হিন্দি ছবি অনুপ্রাণিত। জয়া ভাদুড়ি ভোপালের সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করতেন। ১৯৬৬ সালে সারা ভারতের সেরা এনসিসি ক্যাডেট সম্মানে সম্মানিত হন জয়া।
সিনে দুনিয়া থেকে এখন তিনি অনেক দূরে, নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। এখন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ তিনি। এরপরই একাধিক বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হয় তাঁর। সংবাদমাধ্যমের প্রতি দুর্ব্যবহারের জন্য একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি। জন্মদিনে ফিরে দেখে নেওয়া যাক, তাঁর সেরা ৫টি ছবি, যা সাড়া ফেলেছিল বক্স অফিসে।
গুড্ডি (১৯৭১)
এই ছবি দিয়েই জয়া জয়া ভাদুড়ির বলিউডে হাতেখড়ি। ছবির পরিচালক ছিলেন হৃষিকেশ মুখার্জি। ছবিতে গুড্ডি চরিত্রে অভিনয় করেন জয়া, যে অন-স্ক্রিন ধর্মেন্দ্রর 'অন্ধ-ভক্ত' ছিল।
বংশী বিরজু (১৯৭২)
অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে প্রথম অভিনয় জয়া ভাদুড়ির। ছবিটির পরিচালনায় ছিলেন প্রকাশ ভার্মা।
অভিমান (১৯৭৩)
এই ছবিতেও জয়ার বিপরীতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। সেরা অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার বেস্ট অ্যাকট্রেসের খেতাব জেতেন জয়া ভাদুড়ি।
সিলসিলা (১৯৮১)
অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ছিলেন জয়া বচ্চন ভাদুড়ি। এই ছবির পর সিনে দুনিয়ায় লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি।
কাভি খুশি কাভি গাম (২০০১)
মা ছেলের সম্পর্কটা যে কতটা গভীর সেটা পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন জয়া বচ্চন। শপিং মলে শাহরুখের সঙ্গে মুখোমুখি, কিন্তু কোনও কথা নেই কারও মুখে! এই সিনটাতেই আবারও নিজের সেরা অভিনয়ের ছাপ রেখেছিলেন জয়া বচ্চন ভাদুড়ি।