
ওয়াশিংটন, ১৩ জানুয়ারি: এবার নিষেধাজ্ঞা চাপল বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (President Donald Trump) ইউটিউব (YouTube) চ্যানেল। গুগল পরিচালিত ইউটিউব তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, চ্যানেলের প্রাইভেসি পলিসি মেনে না চলায় নূন্যতম সাত দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেল। সম্প্রতি চ্যানেলে আপলোড হওয়া বিষয় থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে জন্যই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য এই চ্যানেলের কোনও কনটেন্টে কমেন্ট করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। ইউটিউবের ঘোষণায় বলা হয়েছে, "সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করার পরে হিংসার সম্ভাব্যতা নিয়ে উদ্বেগের আলোকে আমরা আমাদের নীতি লঙ্ঘনের জন্য ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের চ্যানেলে আপলোড করা নতুন কনটেন্ট সরিয়ে নিয়েছি। চ্যানালে নতুন কনটেন্ট আপলোড করায় সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৭ দিনের। উদ্বেগের প্রেক্ষিতে আমরা প্রসিডেন্ট ট্রাম্পের চ্যানেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্তব্য করা ব্যান করব, যেমন আমরা অন্যান্য চ্যানেলগুলিতে করেছি।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিল ট্রাম্পের কয়েকটি ভিডিয়োতে। জো বাইডেনের দল ভোট চুরি করে নির্বাচনে জিতেছে বলে অভিযোগ আনা হয়। ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। ইউটিউব জানিয়ে দিয়েছে, অন্তত সাত দিন ট্রাম্প তাঁর চ্যানেলে নতুন কোনও ভিডিয়ো আপলোড করতে পারবেন না। আরও পড়ুন: Twitter permanently suspends Donald Trump's account: ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে সাসপেন্ড করল টুইটার
বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য গত ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বলে। অধিবেশ চলাকালীন ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালানো রিপাবলিকান সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প টুইট করার পর তাঁর অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করে টুইটার ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক পরে জানায়, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর শেষ হওয়া পর্যন্ত অন্তত ২ সপ্তাহ ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত থাকবে। ইনস্টাগ্রামও ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত নেয়। টুইটার কর্তৃপক্ষ মাঝে একবার ট্রাম্পকে তাঁর অ্যাকাউন্ট ফেরালেও পরে তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়।