Sednaya Jail (Photo Credit: X/Screengrab)

দিল্লি, ৯ ডিসেম্বর: বাশার আল-আসাদ (Bashar Al-Assad) দেশ ছেড়েছেন। সিরিয়ার (Syria) দখল নিয়েছে তারির আল-শাম নামের বিদ্রোহী সংগঠন। বাশার দেশ ছাড়ার পর সিরিয়ার কুখ্যাত সৈদনায়া (Sednaya) কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্ত করা শুরু হয়েছে। দামাস্কাস থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সৈদনায়া কারাগার। গত ১৪ বছর ধরে সিরিয়ায় যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে, তার জেরে সৈদনায়াতে প্রায় ১০ হাজার বন্দিকে রাখা হয়। অন্ধকার কূপের মধ্যে বিধ্বস্ত অবস্থায় ওই কারাগারে বন্দিদের রাখা হত বলে একাধিক ভিডিয়োতে উঠে আসতে শুরু করেছে। বাশার দেশ ছাড়তেই সৈদনায়া কারাগারের দরজা খুলে দেওয়া হয়। ফলে প্রায় ১০ হাজার বন্দিকে মুক্ত করা হয় (য়ারা রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে পরিচিত)। সৈদনায়া জেল থেকে যে বন্দিদের মুক্ত করা হয়েছে, তাদের খোঁজ আপাতত পাচ্ছে না পরিবার।

আরও পড়ুন: Syria: বাশার দেশ ছেড়ে পালাতেই সিরিয়ায় হামলা শুরু করল ইজরায়েল

সৈদনায়ার কারাগারের দরজা খুলতেই সেখানে বহু মহিলা এবং শিশুর দেখা মেলে। মহিলা, শিশু-সহ অন্য বন্দিরা যাতে ভয় না পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসে, সে বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করতে দেখা যায় তারির আল-শাম নামের ওই বিদ্রোহী গ্রুপের তরফে। আল জাজিরার সাক্ষাৎকারে সৈদনায়া থেকে মুক্ত এক বন্দিকে বলতে শোনা যায়, যত বছর সে জেলের অন্ধকারে আটকে ছিল, সেখানে তার কোনও নাম ছিল না। জেলের অন্ধকূপের মধ্যে দিনের পর দিন ধরে তাকে আটকে থাকতে হয়েছে বলে ওই বন্দিকে বলতে শোনা যায়। কারাগারে প্রবেশের পর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ফলে সে মৃত বলে ধরে নিতে শুরু করেছে তার পরিবার। এমনও বলতে শোনা যায় জেল থেকে মুক্তি পাওয়া ওই বন্দিকে।

দেখুন সৈদনায়া কারাগারের সেই ভয়াবহ ভিডিয়ো...

 

পরিবারকে না জানিয়েই বহু বন্দিকে সৈদনায়া-তে আটকে রাখা হয়। কী কারণে তাদের বন্দি করা হয়, সে বিষয়ে কোনওদিন কাউকে জানতে দেওয়া হয়নি বলেও শোনা যায় অনেকের বক্তব্যে।