Credits: Pixabay

আবহাওয়া খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। সকাল ও সন্ধ্যায় খুব গরম এবং রাতে সামান্য ঠান্ডা থাকে, যার কারণে বেশিরভাগ মানুষের স্বাস্থ্য দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এই ঋতুতে ত্বককে আর্দ্র রাখা জরুরি। ত্বক যাতে শুষ্ক না হয় সেজন্য স্প্রে বোতল বা স্পঞ্জ ব্যবহার করতে হবে এবং যতটা সম্ভব জল পান করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম খুব বেশি হলে প্রচুর জল পান করতে হবে। জল পানের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে। এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তুলসী এমন একটি উদ্ভিদ যা সবার বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায়। তুলসীর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। তুলসীর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। তুলসীতে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদান। শিশুদের প্রতিদিন ২-৪টি পাতা অথবা ৫-৬ ফোঁটা তুলসীর রস দেওয়া উচিত। আয়ুর্বেদে আমলকি খুবই উপকারী। আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।

হলুদ এমন একটি মশলা যা সকল সবজিতে ব্যবহৃত হয়। হলুদ সংক্রমণ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সর্দি-কাশিতেও উপকারী। শিশুকে দিনে একবার হলুদ দুধ পান করানো উচিত। এছাড়া মধু আয়ুর্বেদিক ওষুধ। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মধু খেলে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি উপশম হয়। মধু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিশুকে হালকা গরম দুধে অথবা শুধুই মাত্র ১ চামচ মধু দেওয়া যেতে পারে।