
২০২৫ সালে বিশ্ব ঘুম দিবস পালন করা হচ্ছে ১৪ মার্চ। ঘুমের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। ভারতের বেশিরভাগ মানুষ ঘুমের অভাবে ভুগছেন। এক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ৫৯ শতাংশ মানুষ দিনে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমানোর সুযোগ পায়। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য, শরীরের জন্য ৭-৮ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট। ঘুমের অভাবে ভুগছেন এমন মানুষেরা সপ্তাহান্তে ঘুমানোর চেষ্টা করেন কিন্তু অনেক সময় তা করাও সম্ভব হয় না।
বর্ধিত বয়স, অনিয়মিত ঘুমের ধরণ, ধীর বিপাক এবং স্ক্রিন টাইমের কারণে অনেকেরই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না এবং কম ঘুমের কারণে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ক্রমাগত কম ঘুম হওয়ার কারণে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। ঘুমের অভাবের কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। রাত জেগে থাকার ফলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। ৫ ঘন্টা বা তার কম ঘুমালে স্থূলতার ঝুঁকি বেশি থাকে।
ঘুমের অভাব ইনসুলিন সংবেদনশীলতাকে প্রভাবিত করে, এর ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস এড়াতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম সম্পূর্ণ করা জরুরি। ঘুমের অভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। ঘুমের অভাবে স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘুমের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়, এতে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি।