রাজশাহী, ৩ নভেম্বর: শিক্ষকে (Teacher) শায়েস্তা করতে ছাত্ররা (Students) কতই না উপায় অবলম্বন করে থাকেন। ছাত্র-শিক্ষক মতবিরোধের নজির স্বরূপ বিভিন্ন কার্যকলাপের খবর উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে (Headline)। তাই বলে দাবি না মানায় অধ্যক্ষকে (Principal) চ্যাংদোলা করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ভূভারতে বিরল। এমন নজিরবিহীন লজ্জাজনক ঘটনাই ঘটে গিয়েছে বাংলাদেশের রাজশাহীতে Rajshahi Bangladesh)। ছাত্রদের দাবি না মানায় অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে গত শনিবার পুকুরে (Throwing Into Pond) ফেলে দেয় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (Rajshahi Polytechnic Institute) ছাত্ররা। লজ্জাজনক এই ঘটনায় স্তম্ভিত শিক্ষামহল।
বাংলাদেশে ছাত্রলিগের তাণ্ডব থামছে না। একের পর এক লজ্জাজনক কাজ করে চলেছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটি। আর এবার দাবি না মানায় অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার মত কাণ্ড ঘটাতেও ছাড়ল না তারা। প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটনাটি ঘটায় ছাত্রলিগের নেতাকর্মীরা বলে উঠেছে অভিযোগ। এদিন অফিসে যাচ্ছিলেন ফরিদবাবু। এমন সময় ১০-১২ জন ছাত্রলিগের কর্মী তাঁকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। সাঁতার জানায় কোনওক্রমে পাড়ে ওঠেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। সিসিটিভির ফুটেজ (CCTV Footage) দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসন সূত্রে। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, 'বিভিন্ন সময় ছাত্রলিগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে আমার কাছে আসত। সেসব দাবি না মানায় আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল তারা' তিনি আরও জানান, 'ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুজন ছাত্রের ফর্ম পূরণ হয়নি। সেই দুই ছাত্রের ফর্ম পূরণ করানোর জন্য সকালে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল। আমি বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি। সেইসময় তারা আমাকে অশালীন মন্তব্য করে। এতে আমি তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি কথা বলি। তখন তারা বের হয়ে যায়। দুপুরে নামাজ শেষে অফিসে ফেরার পথে ছাত্রলিগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভ সহ কয়েকজন পথ আটকে বলে স্যার কথা আছে। একটু পুকুরের ধারে আসুন। যেতে না চাইলে ওরা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।" আরও পড়ুন: Imran Khan Shares Kartarpur Corridor Pictures: ৯ নভেম্বর থেকে খুলছে করতারপুর করিডোর; এক সপ্তাহ আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শেয়ার করলেন সেজে ওঠার পর্বের ছবি
অধ্যক্ষ বলেন, গত রবিবার দ্বিতীয় পর্বের ৯৪০ জন শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ (Result Out) করা হয়। এতে ৪০-৪২ জনের মত ছাত্র পাশ করতে পারেনি। এ নিয়ে গত সোমবার ছাত্রলিগের সভাপতি-সম্পাদক আমার কাছে এসে ২০-২২ জনের একটি তালিকা ধরিয়ে দিয়ে বলে তাদের পাশ করিয়ে দিতে। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা সবাই বলেন, অনেক ছাড় দিয়ে ফেলের সংখ্যা কমানো হয়েছে। যে কয়জন ফেল করেছে, তাদের পাশ করিয়ে দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। বিষয়টি আমি ছাত্রলিগ নেতাদের জানিয়ে দিই। এতে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়।