ইসলামাবাদ, ৩ নভেম্বর: আগামী ৯ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে করতারপুর করিডোরের (Kartarpur Corridor) দরজা। গত মাসে এমনটাই জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan)। তাই হিসেব মত শুভ মহরৎ সমাগত। আর এই শুভলগ্নের ঠিক এক সপ্তাহ আগেই করতারপুর করিডোরের সেজে ওঠার ছবি শেয়ার করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেল (Twitter) থেকে পোস্ট করে করতারপুরের সেজে ওঠার পর্বের ছবি শেয়ার করলেন তিনি। যে পোস্টে করতারপুর করিডোরের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে পাক প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "শিখ তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত করতারপুর। " এছাড়াও আজ করতারপুর করিডোরের সেজে ওঠা সংক্রান্ত অপর একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখছেন, "শিখ ধর্মগুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এত কম সময়ে করতারপুরকে সাজিয়ে তোলার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাব আমাদের দেশের প্রশাসনকে।"
এই অনুষ্ঠান নিয়ে দুই দেশের মধ্যেই উদ্বেগ প্রথম থেকেই চরমে ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আগামী ৮ নভেম্বর পাকিস্তানের দরবার সাহেব গুরুদ্বারের সঙ্গে পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক মন্দিরকে সংযুক্ত করে এই করিডোরের উদ্বোধন করবেন। তাছাড়াও এই উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও (Manmohan Singh)। গুরদোয়ারার আশপাশে যথেষ্ট সংখ্যক লঙ্গরখানা তৈরি করে দেবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। ভারতের দিকেও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো যেমন - হাইওয়ে, টার্মিনাল বিল্ডিং সময় মতো তৈরি করার কাজ চলছে। গত ২৪ অক্টোবর করতারপুর করিডোর খোলার চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। গুরদাসপুরে ডেরা বাবা নানকের কাছে জিরো পয়েন্টে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যার ফলে শিখ ধর্মাবলম্বীরা পাকিস্তানে অবস্থিত তাঁদের তীর্থক্ষেত্র দরবার সাহিব যেতে পারবেন। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের নারোওয়াল জেলায় অবস্থিত দরবার সাহিব আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে। আরও পড়ুন: Kartarpur Corridor:করতারপুর সাহিব পরিদর্শনে ২০ মার্কিন ডলার পরিষেবা কর মকুব করুক পাকিস্তান, ফের আর্জি ভারতের
Kartarpur ready to welcome Sikh pilgrims. pic.twitter.com/P0uEQgWyMs
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) November 3, 2019
ইমরান খানের শেয়ার করা করতারপুরের সেজে ওঠার পর্বের ছবিগুলি-
সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত করতারপুর করিডোর খোলা থাকবে। যাতে সকালে গিয়ে সন্ধের মধ্যেই ফিরে আসতে পারেন তীর্থযাত্রীরা (Pilgrims)। উল্লেখ্য, শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক (Guru Nanaka) এই দরবার সাহিবে তাঁর জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন।