লন্ডন, ১৪ এপ্রিল: আগামী সেপ্টেম্বরে চলে আসবে মারণ রোগ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। এ বিষয়ে আশাবাদী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকোনোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপিকা সারাহ গিলবার্ট (Professor Sarah Gilbert)। তাঁর দাবির সঙ্গে তারতম্য দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল উইজার্ডের। কেননা বাকিদের দাবি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বা কিওর যাই আসুক না কেন সময় লেগে যাবে ১৮ মাসের মতো। সোমবার বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গিলবার্ট বলেন, “এক অভূতপূর্বহারে বিশ্বজুড়ে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। মোটামোটু ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে যাবে এই ভ্যাকসিন। এঁদের বয়স ১৮-৫৫ বছরের মধ্যে হবে। এই মুহূ্র্তে গোটা পৃথিবীকে সুস্থ করে তুলতে জোরকদমে চলছে পরীক্ষা নীরিক্ষা।”
রেডিওতে অনুষ্ঠিত সকালের শো-তে তিনি বলেন, “এক সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ভ্যাকসিন তৈরিতে ওষুধ প্রস্তুতকারকরা যেন তৈরি থাকেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে বিশ্বজুড়ে কয়েক কোটি মানুষকে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। যত দিন না ভ্যাকসিন প্রয়োগের সফলতা আসছে, ততদিন পর্যন্ত ওষুধ প্রস্তুতকারকরা অপেক্ষা করুক, এটা ঠিক নয়। আমাদের একসঙ্গে বহু সংখ্যাক ভ্যাকসিন তৈরি করা প্রয়োজন। ভ্যাকসিনটি আদৌ কার্যকর কি না তা জানার আগে ওষুধ প্রস্তুত করাটা নতুন কোনও বিষয় নয়।” আরও পড়ুন-Coronavirus Outbreak: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
২০১৪-তে ইবোল-র ব়্যাপিড ভ্যাকসিন রেসপন্স টেস্টে সফল হওয়ার ইতিহাস রয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওই দলটির সঙ্গে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষাতেও আশা করা যাচ্ছে সেই সফলতা আসবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই ক্লিনিক্যাল টেস্ট শুরু হয়ে যাবে। গত সপ্তাহেই অধ্যাপিকা গিলবার্ট এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকার বলেছেন, এই ভ্যাকসিন যে মানব শরীরে কার্যকরী সে বিষয়ে তিনি ৮০ শতাংশ নিশ্চিত। এই মুহূর্তে মহামারী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষকে সংক্রামিত করেছে। মৃত্যুমিছিলে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৯৭ জন। সব থেকে খারাপ অবস্থায় মার্কিন মুলুক। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ লক্ষ। মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। ইটালি ও স্পেন ২০ হাজারের উপরে আক্রান্তষ মৃত ১৭ হাজারেরও বেশি।