ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের (Masoud Pezeshkian) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে মৃত্যু হয় হামাস (Hamas) প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের (Ismail Haniyeh)। তেহরানের (teheran) তিনি যে বাড়িতে রাত্রিযাপন করছিলেন সেই বাড়িই ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে উড়িয়ে দেয় ইজরায়েলি বাহিনী। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে যে হানিয়াহর ওপরে প্যালেস্তাইন (Palestine) বা কাতারের দোহাতে হামলা না করে কেন তেহরানে করা হল। ফলে অনেকেই আশঙ্কা করছে যে ইরানের ষড়যন্ত্রে ইজরায়েল (Israel) সফলভাবে এই হামলা চালাতে পেরেছ। যদিও এই নিয়ে মুখ খুলেছে ইরানের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বুঝিয়ে দেন প্যালেস্তাইনের সঙ্গে ইরানের সমীকরণ আগের থেকেও আরও মজবুত হয়েছে। বরং ইজারায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের পথ আরও দৃঢ় করা হবে। হামাস বাহিনীকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে ইরান।
পেজেশকিয়ান আরও বলেন যে, "হানিয়াহের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। ৩০ জুলাই তাঁর শক্তিশালী হাত তুলে সম্মান জানানো হয়েছিল আর তাঁকে আমার কাঁধে কবর দিতে নিয়ে যাওয়া হবে। তাঁর মৃত্যু ব্যর্থ যাবে না। ইরান তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা, মিত্রতা, সম্মান, মর্যাদা রক্ষা করবে এবং কোনও দখলদারীদের সমর্থন করবে না"। পেজেশকিয়ানের পাশাপাশি হানিয়াহর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ আলি হোসেইনি খামেনি। মঙ্গলবার তাঁর বাসভবনে থেকে বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পরেই মৃত্যু হয়ছিল হানিয়াহ।
"Path of resistance will be stronger" says Iran's President on the killing of Hamas Chief Ismail Haniyeh in Tehran
Read @ANI Story | https://t.co/iczuvqb8Wl#Iran #Hamas #IsmailHaniyeh #MasoudPezeshkian #Qatar #Turkiye pic.twitter.com/e5JBAoIJsz
— ANI Digital (@ani_digital) July 31, 2024
এদিন হানিয়াহ ছাড়াও তাঁর এক দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও হামাস সুপ্রিমোর মৃত্যু নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। প্রসঙ্গত গত বছরে ৭ অক্টোবরে ইজরায়েলে হামাস যে হামলা চালিয়েছিল অবশেষে সেই ঘটনার বদলা নিল ইজরায়েল। এর আগে গত এপ্রিল মাসে হানিয়াহের তিন পুত্রকে হত্যা করেছিল ইজরায়ে বাহিনী। এছাড়া তাঁর ভাই ও ভাইপোকে গাজায় হত্যা করা হয়।