
ওয়াশিংটন, ২ নভেম্বর: সন্ত্রাসবাদী (জঙ্গি) গোষ্ঠীগুলি (Terrorist Groups ), যারা ভারতকে টার্গেট করছে তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না পাকিস্তান (Pakistan)। আবারও জানাল আমেরিকা (United States)। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি তাদের মাটিতে কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে ইসলামাবাদকে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি বার্ষিক রিপোর্ট ( Annual Country Reports on Terrorism) প্রকাশ করেছে আমেরিকা। সেখানে বলা হয়েছে, "পাকিস্তান লস্কর-ই-তইবা (LeT) এবং জইশ-ই-মহম্মদ (JM)-র বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়নি। এরা পাকিস্তানে তাদের সংগঠনের পরিচালনা, প্রশিক্ষণ ও তহবিল সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে।" রিপোর্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই-তইবা। জইশ-ই-মহম্মদ ভারতীয় ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের উপরে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।" রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানভিত্তিক এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি, উপজাতি ও মাওবাদীরা ভারতকে হামলার লক্ষ্য বানিয়েই চলেছে।
রিপোর্টে ভারতে হওয়া ৫টি হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে রয়েছে ছত্তিশগড়ে পুলিশের গাড়িকে মাওবাদীদের হামলা, অন্ধ্রপ্রদেশের তেলুগু দেশম পার্টির বিধায়ক কিদরি সর্বেশ্বরা রাও (Kidari Sarveswara Rao) কে হত্যা এবং শিখ উগ্রপন্থীদের দ্বারা নিরঙ্কারীদের উপর গ্রেনেড হামলা। এই হামলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়, ২০ জন আহত হন। রিপোর্টে রয়েছে, কাশ্মীরে সাংবাদিক সুজাত বুখারি (Shujaat Bukhar) হত্যা এবং সুনজুয়ানে সেনা শিবিরে হামলার কথাও। সুনজুয়ানে সেনা শিবিরে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। হামলায় ৬ সেনা ও একজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন: Gurpurab-2019: গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্ম জয়ন্তীতে ৫০ টাকার স্মারক কয়েন প্রকাশ পাকিস্তানের
সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির উগ্রপন্থীকরণ এবং জঙ্গি নিয়োগের বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, "জঙ্গি নিয়োগ, র্যাডিকালাইজেশন এবং ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য সোশাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপের ব্যবহার নিয়ে ভারতের সরকারি আধিকারিকরা উদ্বিগ্ন।" ইন্টারনেটের ব্যবহার করে জঙ্গি নিয়োগ ও র্যাডিকালাইজেশন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্বের সব সোশাল মিডিয়া সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবা ও অন্য সিনিয়র অফিসাররা। আমেরিকার রিপোর্টে এই বৈঠকের কথাও উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে র্যাডিক্যালাইজেশনের ঘটনা সারা বছর ধরে চলে। এর মধ্যে ইসলামিক স্টেট (ISIS) ভারত থেকে কয়েকজনকে আফগানিস্তানে তাদের আস্তানায় পাঠিয়ে দিয়েছে বলেও খবর।
আমেরিকার রিপোর্টে বলা হয়েছ, ২০১৮ সালের শেষদিকে বড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল ইসলামিক স্টেটের মতাদর্শে বিশ্বাসী একটি সংগঠন। সেই হামলা রুখেছে ভারত। দেশের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে শনাক্ত করতে, তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে ও একেবারে নিকেশ করতে কাজ চলিয়ে যাচ্ছে নতুন দিল্লি।