পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা (Photo Credit: Pixabay)

ইসলামাবাদ, ২৪ অক্টোবর: অবশেষে জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম ফজলের আজাদি মার্চের অনুমতি দিল পাকিস্তানের সরকার। আগামী ৩ অক্টোবর পাকিস্তানে এই আজাদি মিছিল হতে চলেছে। তবে যাইহোক না কেন সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই আজাদি মিছিল (Azadi March) ততক্ষণ নিষিদ্ধের আওতায় পড়বে না যতক্ষণ তা আইন মেনে সম্পন্ন হবে। সরকারিবিধি লঙ্ঘন করলেই আজাদি মিছিল বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ডন-এর সূত্রের খবর, বুধবার বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারি প্রতিনিধিদের একটি দল দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। বলা বাহুল্য সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর তা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে পাঠানো হলে তিনি তাতে সবুজ সংকেত দেন।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (PMO) সূত্রের জানানো হয়েছে বিক্ষোভ দেখানো যে গণতান্ত্রিক অধিকার তা প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan) মনে করেন। তাই বিক্ষোভকারীদের পথরোধ করা হবে না, যতই বিক্ষুদ্ধরা ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইসলামের পতন চেয়ে বিক্ষোভ দেখাক না কেন। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী যতক্ষণ না বিক্ষোভ সমাবেশের দ্বারা সাধারণ মানুষ কোনও সমস্যায় পড়ছে ততক্ষণ বিক্ষোভ চলতে পারে। এদিকে বিরোধীদের বিক্ষোভের অনুমতি দিলেও সম্ভাব্য অশান্তি প্রতিরোধে রাজধানী শহরে যাবতীয় বন্দোবস্ত শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। বিক্ষোভকারীরা যাতে রাজধানীর দুই সংরক্ষিত এলাকায় না ঢুকতে পারে তারজন্য প্রয়োজনীয় রক্ষী মোতায়েন করা হবে। আরও পড়ুন-ইমরান খানের সরকারের আয়ু বেশিদিন নেই, পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফেরাতে বিক্ষোভের ডাক বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির

উল্লেখ্য, জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম ফজল (JUI-F) প্রধান মাওলানা ফজল গত জুন মাসে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন আামী অক্টোবরে রাজধানী ইসলামাবাদে সরকার বিরোধী একটি মিছিল করবেন। মিছিলটি রাজধানীতে এসে শেষ হবে। তাঁর মতে তেহরিক-ই-ইনসাফ ভুয়ো নির্বাচন করে পাকিস্তানের মসনদ দখল করেছে আর ইমরান খান সেভাবেই উজিরে আজম হয়েছেন। প্রথমে সেই আজাদি মিছিলের জন্য ২৭ অক্টোবরকেই বেছে নিয়েছিলেন মাওলানা ফজল (Maulana Fazl), পরে মত পরিবর্তন করে তা ৩১ অক্টোবর করা হয়। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম দাঙ্গা না বেধে য়া দেখতে তৎপর পুলিশ ও প্রশাসন।