Pakistan PM with Another Party Members in Parliament (Photo Credit: Dawn/ Twitter)

বুধবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শে পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের মঞ্চ তৈরি করছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। সেই কারণে সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পরই তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন বেছে নেবেন শরিফ এবং বিদায়ী পার্লামেন্টে একজন বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করা হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেন, 'আজ রাতে আমি প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেব।' তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়নের জন্য উভয় পক্ষ থেকে সুপারিশকৃত প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন। Pakistan PM Shehbaz Sharif: বুধে পদত্যাগ করতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ

তবে নির্বাচন কমিশন নতুন করে আদমশুমারির ভিত্তিতে শত শত নির্বাচনী এলাকা পুনর্বিন্যাস শুরু করার সঙ্গে ভোট গ্রহণ কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে তা জনরোষকে উস্কে দিতে পারে এবং পরমাণু শক্তিধর দেশটিতে অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিতে পারে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ইমরান খান। এর কয়েক দিন পর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।

গত বছর অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার মূলে রয়েছেন ইমরান খান। ফলে পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এরপর থেকে তিনি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাভোগ করছেন। এর ফলে পাঁচ বছরের জন্য তিনি কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান শাসন করা শক্তিশালী সামরিক বাহিনীই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান খান। যদিও সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য সরকার বেদনাদায়ক সংস্কার বাস্তবায়ন করায় ইমরান খানের স্থলাভিষিক্ত হন শরিফ, যিনি অর্থনৈতিক সংকট এবং ঐতিহাসিকভাবে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মাত্রার সাথে লড়াই করছেন। ভোট বিলম্বিত হলে যে আইনি সমস্যা দেখা দিতে পারে, তার পাশাপাশি নির্বাচন অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইমরান খানকে পাশে না পাওয়া নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করবে।