তেহরান, ২৪ ফেব্রুয়ারি: কখনও মার্কিন সেনার বিমান হানা, তো কখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিপর্যয় যেন ইরানের পিছু ছাড়ছে না। এবার হল ভূমিকম্প (Earthquake)। রবিবার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে গেল তুরস্ক ও ইরানের সীমান্ত এলাকা। এই ঘটনায় এখনও পরয্ন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন শিশু। কম্পনে তুরস্কের এক হাজারেরও বেশি বহুতল ভেঙে পড়ে। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। তুরস্কের শহর ভানের থেকে ৯০ কিমি পশ্চিমে ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। ভূমিকম্পের পরের ১০ ঘণ্টায় বেশ কয়েকবার আফটারশকে চরম আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। আফটারশকের একটির তীব্রতা ছিল ৬। তবে সেই কম্পনে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূ-কম্পনের তীব্রতা ৫.৭। মাটি থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে ছিল উপকেন্দ্র। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ইরানের শহর খোয় থেকে ৪৭ কিমি পশ্চিমে ছিল কম্পনের উপকেন্দ্র। স্থানীয় সময় সকাল ৮.৫৩-এ প্রথমবার কেঁপে ওঠে তুরস্ক। এর পরের বড় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় সন্ধে সাতটায়। বহু বাড়ি ভেঙে পড়ায় দুর্গতদের তাঁবু খাটিয়ে আপাতত থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে ১৫০টি তাঁবু। ভূকম্পের জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যা। শাতাধিক ছাড়িয়ে গিয়েছে। আরও পড়ুন-Prime Minister Narendra Modi Hugs US President Donald Trump: ভারতে পৌঁছাতেই নরেন্দ্র মোদির বাহুডোরে ডোনাল্ড ট্রাম্প, সবরমতী আশ্রমের পথে অভাবনীয় অভ্যর্থনা
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ইরান ও তুরস্ক। ভানের গভর্নর মেহমেট বিলমেজ জানিয়েছেন, 'প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। চারটি গ্রামে অনেককিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।' ইরানি সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (আইআরএসসি) মতে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল কোতার জেলায় এবং ভূপৃষ্ঠের অন্তত ছয় কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে সীমান্তবর্তী এলাকার অন্তত ৪৩টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। সেদেশের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমাদের উদ্ধারকারী দলগুলোকে ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। একই ভূমিকম্পে তুরস্কের ভ্যান শহরে প্রচুর বাড়ি ধসে পড়েছে।