Nepal Plane Crash. (Photo Credits: Twitter)

গত ১৫ জানুয়ারি নেপালের পোখরায় ইয়াতি এয়ারলাইন্সের ATR-72 বিমানটি পাইলট, ক্রু সহ মোট ৭২জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাওয়ার পর অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। সেই সময় বিমানটিতে আগুন ধরে ভেঙে পড়ে। এটিআর ৭২ মডেলের দুই ইঞ্জিনের বিমানটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের ১৫ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। বাকি চারজন ছিলেন বিমানটির কর্মী। বিমানের মধ্যে থাকা সবাই মারা যান।

কী কারণে বিমানটি এভাবে দুর্ঘটনায় পড়ে তা পরিষ্কার করে বোঝা যাচ্ছিল না। দুর্ঘটনার একদিন পর উদ্ধার হয় ব্ল্যাক বক্স। বিমানটি ১৫ বছরের পুরনো ছিল। ১৯৯২ সালের পর নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার বিচারে পোখরায় হওয়া এই দুর্ঘটনাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। আরও পড়ুন-হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ছে তুরস্কের বহুতল, দেখুন

দেখুন টুইট

এরপর ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার পরীক্ষা করার পর দেখা যায় দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়া। ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে ধরা পড়া পাইলটের কথায় বোঝা যায়, বিমানটির ইঞ্জিন কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। দুর্ঘটনার পর গঠিত হওয়া তদন্ত কমিটির প্রধান এই কথা জানান। বিশ্বের সর্বোচ্চ ১৪টি পর্বত শৃঙ্গের আটটি নেপালে রয়েছে, যার মধ্যে হিমালয়ও আছে। তাই নেপালে যেকোনো সময় পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং পাহাড়ের মাঝে কঠিন এয়ারস্ট্রিপ দুর্ঘটনার পক্ষে অনুকুল পরিস্থিতি তৈরি করে।