হান্তা ভাইরাস Representational Image of Rat (Photo Credits: Wikimedia Commons)

নতুন দিল্লি, ২৪ মার্চ: করোনার পর একটি নতুন ভাইরাস হানা দিল, হান্তা ভাইরাস (Hanta Virus)। মৃত এক ব্যক্তি। বাকি ৩২ জনের শরীরে ভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এটি নতুন কোনও ভাইরাস নয়। এতটা সংক্রামকও নয়। এর ওষুধও রয়েছে। সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ১৬,০০০। মঙ্গলবার ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫১৯। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮। এ দিন মহারাষ্ট্র থেকে আরও এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধ আমিরশাহি থেকে মুম্বইয়ে ফিরেছিলেন। সোমবার রাতে কস্তুরবা গাঁধী হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই নিয়ে দেশে মৃত্যু হল ১০ জনের।

টুইটারে হান্তা ভাইরাসের কারণে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির বিষয়ে টুইট করার পরে হান্টাভাইরাস অন্যতম শীর্ষ ট্রেন্ড হয়ে ওঠে। এক ব্যক্তি টুইটারে তবে দেখা লেখেন, হান্টাভাইরাস কোনও নতুন ভাইরাস নয় এবং কয়েক দশক ধরে মানুষকে সংক্রামিত করে চলেছে। কাজের জন্য শানডং প্রদেশে ফেরার পথে ইউনান প্রদেশের এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি হন্তাভাইরাসের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করেছিলেন। বাসে থাকা অন্য ৩২ জনের পরীক্ষা করা হয়েছিল।" চিনে নতুন করে করোনায় আজ মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন, রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য এক হাজার টাকা করে অনুদান দেবে সরকার, ঘোষণা মমতা ব্যানার্জির

সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৪৮টি জেলায় লকডাউন চালু করা হয়েছে। প্রতি দিন বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ দিন মহারাষ্ট্রে আরও ৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই চার জনের মধ্যে ৩ জন পুণের এক জন সাতারার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে সংক্রমণের সংখ্যায় দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কেরল। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ জন। তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭। তার পরে কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাত-সহ আরও রাজ্য।