কলকাতা, ২৪ মার্চ: করোনার (Coronavirus) কারণে গৃহবন্দী গোটা দেশ। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের পরামর্শে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যের অসংগতি ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য এক হাজার টাকা করে.অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, দুর্ভোগ হলেও এই কটা দিন বাড়িতেই থাকতে হবে। কিন্তু অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি জানিয়েছেন, ১৫ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হবে।
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছিল অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মাসে একহাজার টাকা দেওয়ার কথা। এদিন একই পথে হাঁটল বাংলাও। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান কর্মসংস্থান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ কুমার আজ দুপুরেই সমস্ত রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে অ্যাডভাইজারি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, জনকল্যাণ সেসের টাকা থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আর্থিক সুরাহা নিশ্চিত করতে হবে। করোনা-মহামারীর জেরে যখন দেশজুড়ে লকডাউন চলছে, কাজকর্ম বন্ধ, রোজগারও বন্ধ, তখন তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য জনকল্যাণ সেস থেকে ৫২ হাজার কোটি টাকার তহবিল মঞ্জুর করল কেন্দ্র। শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড যে এ বাবদ যে তহবিল সংগ্রহ করেছে তা থেকেই রাজ্যগুলি যেন শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে।
আরও পড়ুন, মাস্ক ছাড়াই হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট মমতার, খতিয়ে দেখলেন করোনা মোকাবিলায় কতটা তৈরি রাজ্য
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক সেরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে নিয়ে সোজা চলে যান আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে। এই হাসপাতাল দিয়ে শুরু করেন সারপ্রাইজ ভিজিট। কথা বললেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। করোনা মোকাবিলায় কী কী জিনিসের অভাব রয়েছে সেটা খতিয়ে জানার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি নিজেই চিকিৎসকদের হাতে তুলে দেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক। পাশাপাশি আশ্বস্ত করেন, চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যা যা জিনিস খামতি রয়েছে। তা দ্রুত পৌঁছে যাবে হাসপাতালে। এরপর পৌঁছে যান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও একইভাবে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। আর জি করের মতো এখানেও চিকিৎসকদের হাতে তুলে দেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক। এরপর পৌঁছে যান এনআরস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেই হাসাপাতালে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি রয়েছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাঁর সহকর্মী । তাঁর শারীরিক পরিস্থিতিরও খোঁজ নেন তিনি। এরপর এনআরএস থেকে পৌঁছে যান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ডেপুটি সুপার এবং অন্যান্য চিকিৎসকরদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।