পিপিই কিট File Image | (Photo Credits: AFP)

মস্কো, ১ জুন: ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে ২০১৪ সালে জাপানে তৈরি হয়েছিল ভ্যাকসিন ফ্যারিপিরাভির। সেই ওষুধের সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন (COVID-19 Drug) বানিয়ে ফেলল রাশিয়া। এই ভ্যাকসিনের নামকরণ করা হয়েছে অ্যাভিফ্যাভির। আশা করা হচ্ছে এই ওষুধেই ঘায়েল হবে করোনাভাইরাস। মস্কো জাপানি ফর্মুলাকে নিজেদের ছকে ফেলে এই ওষুধের নয়া ভার্সন অ্যাভিফ্যাভিরই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করবে করোনা রোগীদের উপরে। গত মার্চ মাস থেকেই রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড তথা আরআইডিএফ ভ্যাকসিন তৈরির কাজে লেগে পড়ে। আরডিআইএফের কর্ণধার কিরিল মিত্রিয়েভ বলেছেন, “করোনা প্রতিরোধে প্রথমবার অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ অ্যাভিফ্যাভিরের ক্লিনিকাল ট্রায়াল হতে চলেছে রাশিয়ায়। করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধ সারা বিশ্বেই আশা জাগাতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই এই ওষুধের ট্রায়াল হয়েছে ল্যাবরেটরিতে। জাপানের অ্যাভিগান যে ফর্মুলায় তৈরি তার থেকেই কিছুটা আলাদা অ্যাভিফ্যাভির। ওষুধের রাসায়নিক ফর্মুলায় প্রয়োজনীয় বদল এনে এই ওষুধকে কার্যকরী কোভিড-প্রতিরোধী অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ হিসেবে সংশ্লেষ করা হয়েছে। চিন, জাপান, ইতালিতে ফ্যাভিপিরাভিরের ট্রায়াল চলছে। ম্যাসাচুসেটসের তিনটি হাসপাতালে রোগীদের উপরে এই ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়েছে। প্যারাজাইকার্বোক্সামাইডের ডেরিভেটিভ হল এই ড্রাগ। এর রাসায়নিক ফর্মুলায় কিছু বদল আনা হয়েছে। এই ওষুধ এখন কোভিড প্রতিরোধী। আরএনএ ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে পারে। রাশিয়ার গবেষকরা বলছেন, ফ্যাভিপারিভিরের নয়া ভার্সন অ্যাভিফ্যাভির করোনাভাইরাসের জেনেটিক মিউটেশনটাকেই বন্ধ করে দেবে। জিনের গঠন বদলাতে না পারলে ভাইরাসের আক্রমণাত্মক ক্ষমতাও ধীরে ধীরে কমে যাবে। মানুষের শরীরে এই ড্রাগের কোনও অ্যাডভার্স রিঅ্যাকশন দেখা যাবে না বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের। আরও পড়ুন-Nisarga Cyclone: ধেয়ে আসছে নিসর্গ ঘূর্ণিঝড়, এনডিআরএফ-এর তত্ত্বাবধানে মহারাষ্ট্রে মোতায়েন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০টি দল, গুজরাট উপকূলে ১১টি

ভারতেও করোনার চিকিৎসায় এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে। দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের অনুমোদনে ফ্যাভিপিরাভিরের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে মুম্বইয়ের গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস। সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ তথা সিএসআইআর (CSIR)-ডিরেক্টর জেনারেল শেখর সি মান্ডে বলেছিলেন, করোনা রোগীদের উপরে ভাল করতে পারে এই অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ড্রাগ।