ইসলামাবাদ, ৮ আগস্ট: প্রথমে আরও একটি পুলওয়ামা হামলার হুঁশিয়ারি। আর ঠিক পরেপরেই দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বানিজ্যে ইতি টেনে দিয়েছে পাকিস্তান। এমনকী ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে দিল্লি ফেরার হুকুমও জারি করেছে। এরপরেও দিল্লির তরফে কোনও বার্তা না আসায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল ইসালামবাদ থেকে আটারি পর্যন্ত সমঝোতা এক্সপ্রেস আর চলবে না। বুধবার রাত ১১টা বেজে ৩০ মিনিটের নির্ধারিত সময়েই যদিও দিল্লি থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেস আটারির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামাবাদ থেকে আটারিগামী ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আরও পড়ুন-৩৭০-এর কোপে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ফিরে যেতে বলল পাকিস্তান
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খব,র উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি ও দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কথা মাথায় রেখেই যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে সমঝোতা এক্সপ্রেস আপাতত বন্ধই থাকবে। পাকিস্তান যে একে একে ভারতের সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ করতে চাইছে তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিকে বুধবার সিকিফরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর যখন ইমরান খান জানালেন পাকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূত থাকতে পারবে না। তখন কৌশলগত কারণেই মুখে কুলুপ এঁটেছিল নয়াদিল্লি। তবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের এহেন সিদ্ধান্তকে আরও একবার বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানাল ভারত। বৃহস্পতিবার সকালে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, “ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব কমাতে পাকিস্তান এক তরফা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেখেছি। এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার। পাকিস্তান গোটা দুনিয়াকে দেখাতে চাইছে যে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটা একেবারেই ভিত্তিহীন। সুতরাং তা না করে যেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখে ইসলামাবাদ”।
Pakistan suspends Samjhauta Express services, says Pakistan media. pic.twitter.com/JzsWJzbeBA
— ANI (@ANI) August 8, 2019
নয়াদিল্লির এও বক্তব্য, জম্মু ও কাশ্মীরকে নিয়ে ভারত সম্প্রতি যে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা একেবারেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে নাক গলানোর অধিকার কারও নেই। জম্মু কাশ্মীরের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা ও উপত্যকায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাকিস্তানের যে তা পছন্দ হবে না সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। কারণ, পাকিস্তান বরাবরই চেয়েছে কাশ্মীর পিছিয়ে থাকুক। যাতে বিচ্ছিন্নতার ভাবাবেগে হাওয়া দিয়ে তারা জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটাতে পারে। তবে পাকিস্তান যে কাশ্মীরের বিষয়ে নাক গালতে না পেরে বেজায় ক্ষিপ্ত তা সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধের সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।