ইসলামাবাদ, ৭ আগস্ট: কাশ্মীর নিয়ে একাই সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি, ইসলামাবাদকে একবারও জানাল না। এত বড় ঘটনা বিনা বাক্য ব্যয়ে হজম করতে নারাজ ইমরান খানের সরকার। তাই ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে পত্রপাঠ ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিল সেদেশের প্রশাসন। মূলত ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীর নিয়ে বহির্বিশ্বে দরবার করেছিল পাকিস্তান। তবে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখলেও ভারতের বিপক্ষে মুখ খুলতে কোনও দেশই রাজি হয়নি। এই দেখে নিতান্ত হতাশা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইমরান খান, এমনটাই দাবি কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আরও পড়ুন-৩৭০- ধারার বিলোপে কাশ্মীরে অলিখিত কারফিউ, পুলিশের তাড়ায় বিক্ষোভকারীর মৃত্যু
Pakistan National Security Committee decided to take following actions
1. Downgrading of diplomatic relations with India.
2. Suspension of bilateral trade with India.
3. Review of bilateral arrangements. 2/2 https://t.co/PBj5OA16Rc
— ANI (@ANI) August 7, 2019
জানা গিয়েছে, হতাশা থেকেই ইমরান খান এতো অস্থির হয়ে পড়েছেন। কারণ এর ফলে ঘরোয়া রাজনীতিতে বিপদে পড়ে যাচ্ছেন তিনি। ফলে তাঁকে এখন বিপ্লব দেখাতেই হবে। কিন্তু ইসলামাবাদও বোঝে এ ব্যাপারে তাদের করণীয় খুবই সীমিত। এমনকী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক রদ করলে ক্ষতিও বেশি পাকিস্তানেরই। দিল্লিতে যখন ৩৭০ ধারার বিলটি লোকসভায় পাশ হয়ে গেল। আজ আবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গেজেট পাশ করে ৩৭০-এর আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘোষণা করলেন তখন ইসলামাবাদে চলছে সিকিওরিটি কাউন্সিলের বৈঠক। ইমরান খানের নেতৃত্বে সেই বৈঠকেই একগুচ্ছ বিষয় স্থির হয়ে যায়।
Prime Minister Imran Khan chaired a meeting of NSC.
Prime Minister directed that all diplomatic channels be activated to expose the brutal Indian racist regime and human rights violations.
He directed Armed Forces to continue vigilance.#StandwithKashmir #Pakistan pic.twitter.com/3nqjcrwUQ3
— Govt of Pakistan (@pid_gov) August 7, 2019
নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচার গড়ে তুলবে পাকিস্তান। কাশ্মীর দু’ভাগ করার প্রশ্নে গোড়া থেকেই আপত্তি জানাচ্ছিল ইসলামাবাদ। তাদের দাবি, কাশ্মীর ভারতের একার বিষয় নয়। দ্বিপাক্ষিক বিষয়। নয়াদিল্লি অবশ্য তাতে কর্ণপাতও করেনি। এই অবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর ইসলামাবাদ এ দিন ঘোষণা করে, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব অনেক কমিয়ে দেবে তারা। নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের কোনও রাষ্ট্রদূতও থাকবে না। এককথায় কাশ্মীর প্রশ্নে নয়াদিল্লি পাত্তা না দেওয়ায় ভারতকে বয়কট করল ইসলামাবাদ।