৩৭০- ধারার বিলোপে কাশ্মীরে অলিখিত কারফিউ, পুলিশের তাড়ায় বিক্ষোভকারীর মৃত্যু
উপত্যকা(Photo Credit: Twitter)

শ্রীনগর, ৭ আগস্ট: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল যতই বড় মুখ করে বলুন কেন কাশ্মীর স্বাভাবিক আছে। বাস্তব কিন্তু তা বলছে না। ৩৭০-এর বিলোপে কী পাওনা হল আর কী খোয়া গেল তা বোঝার আগেই ১৪৪ ধারার বাঁধনে উপত্যাকার বাসিন্দাদের দম বন্ধ হয়ে আসছে। আচমকা টেলিফোন পরিষেবা, টিভি, ইন্টারনেট বন্ধ হওয়াতে বাসিন্দারা ভালই বুঝতে পেরেছিল বড়সড় কিছু ঘটতে চলেছে। কেননা তার আগাম পূর্বাভাস হিসেবে উপত্যকা জুড়ে সেনার দাপাদাপি আতঙ্কের রেশকে বাড়িয়ে দিয়েছে। আরও পড়ুন-৩৭০ ধারার আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি, গেজেট প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

৪৮ ঘণ্টা পরও প্রশাসনের তরফে খোলসা করে বলা হয়নি কাশ্মীরে কী ঘটছে বা ঘটতে চলেছে। স্পেশ্যাল স্টেটাস হারিয়েছে কাশ্মীর, এই তথ্যই যে তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি। এদিন দমবন্ধ পরিস্থিতি কাটাতে ১৪৪ ধারা অগ্রাহ্য করে রাস্তায় নেমে পড়লেন বাসিন্দারা। এ দিন দফায় দফায় বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে শ্রীনগরে। পুলিশ-সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে একাধিক দলের। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি দলের সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। তার মধ্যেই এক জনকে তাড়া করে পুলিশ। সেই তাড়া খেয়েই ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই সংঘর্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ৬ জনের দেহে গুলির ক্ষত রয়েছে। এ ছাড়া আহত অনেকে। এদিন অন্তত ১০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করলেও সেই তালিকায় উপত্যকার বিশিষ্ট কোনও রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন কি না তানিয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্তা গ্রেপ্তারির বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।

এদিন সোপিয়ানের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় অজিত ডোভালকে। তিনি সেই ছবি টুইটও করেছেন। দুপুরের খাবার খেয়েছেন সেখানে। তবে য়াই দেখান না কেন কাশ্মীর যে ভাল নেই তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। শ্রীনগরেই কারফিউ-র চেহারা স্পষ্ট। একমাত্র অসুস্থ ও কার্ফিউ পাস ওয়ালারাই যেতে পারছেন। বাকিদের চলাফেরায় সেনার খবরদারি অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সবমিলিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে উপত্যকা।