রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Photo Credit: PTI)

দিল্লি, ৭ আগস্ট: বুধবার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। উঠে গেল জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা (স্পেশাল স্ট্যাটাস)। সোমবার সকালেই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তারপর সারা দিন রাজ্যসভায় আলোচনার পর পাশ হয়েছে কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। মঙ্গলবার লোকসভায় ৩৭০টি ভোট পেয়ে পাশ হয়েছে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিল। সংসদের দুই কক্ষে বিল পাশ হওয়ার পর বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতার। এদিন রাষ্ট্রপতির হাত ধরে সেটিও সম্পন্ন হল। আরও পড়ুন-এবার ফর্সা টুকটুকে কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করতে বাধা নেই, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে তোলপাড়(দেখুন ভিডিও)

শোনা যাচ্ছে, ৩৭০ ধারা বিলোপের এই পদক্ষেপে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতা খুশি এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এই রাজনৈতিক পদক্ষেপ থেকে বিজেপি ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে তাও স্পষ্ট। তবে এখনও অনেক কিছু দেখার বাকি রয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ কী ভাবে নেবে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কায়েম রাখতে সরকার কতটা সফল হবে, তার উপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীর যদি নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে তার দায়ও নিতে হবে মোদি সরকারকেই। বলা বাহুল্য, বিজেপি-র দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দাবি ছিল ৩৭০ বিলোপ হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তরুণ নেতা, তখনও তিনি এ নিয়ে ধর্না দিয়েছেন। মোদির সেই তরুণ বয়সের ছবি টুইট করেছিলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব। তিনিই আজ প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাত ধরেই বিলোপ হল ৩৭০ ধারা।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব প্রসঙ্গে গোটা দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ এটিকে বিজেপির জয়হিসেবে দেখছেন, কেউ বা গণতন্ত্রের অবমাননা হিসেবে আখ্যা করছেন। আকসাই চিন ও লাদাখ নিয়ে ভারতের পদক্ষেপে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েচে বেজিং। সংসদে বিরোধীরা হইচই বাধিয়ে দিয়েছে। এককথায় গোটা দেশ উত্তাল। বিতর্ক তুঙ্গে। জাতীয় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে ৩৭০ এখন আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে। প্রতিক্রিয়া দিয়েছে হোয়াইট হাউস। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সরকারের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, “৩৭০ ধারা কাশ্মীর এবং বাকি দেশের মধ্যে একটা পাঁচিল তুলে রেখেছিল। তা ভেঙে গেল।”