
গাজিয়াবাদ, ১৮ মার্চঃ প্রতিবেশীর বানানো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বছর সাতের এক শিশু। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। পাশের বাড়ির মহিলার বানানো খাবার খেয়ে শিশুর মৃত্যুর খবরে যখন হইচই কাণ্ড বাধে এলাকায়, ঠিক তখনই সামনে আসে শিশুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না নিহত শিশুর পরিবার।
শিশুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে সাত বছরের শিশুকে। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করা হয়েছে তার। ছটফটিয়ে মারা গিয়েছে খুদে। মেয়েটির বাবা ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী শান্তি দেবীর বানানো খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়ে। ওই খাবার তাঁর পরিবারের আরও ছয়জন সদস্য খেয়েছিলেন। তাঁরা সকলেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উলটো কথা বলছে। শিশুর বাবার বয়ানে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা করতেই গরগর করে সব সত্যি বেরিয়ে আসে। পাঁচ সন্তানের বাবা বছর ৫২-র অভিযুক্ত জানান, নিজের সাত বছরের মেয়েকে তিনি ধর্ষণ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ মার্চ, সোমবার রাতে। মত্ত অবস্থায় বাড়ি এসে মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বাবা। মেয়ে কাঁদতে শুরু করায় তার মুখ বন্ধ করতে গিয়ে শ্বাসরোগ করে খুন করেন তিনি। পরের দিন সকালে পরিবারের সামনে অভিযুক্ত নাটক শুরু করেন। বলেন, আগের রাতে প্রতিবেশীর বানানো খাবার খেয়ে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মেয়েকে হাসপাতালেও নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়।