বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা (Photo: Twitter)

ঢাকা, ১২ নভেম্বর: দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে (Train Collision) বাংলাদেশে (Bagladesh) মৃত্যু হল ১৬ জনের। আহতর সংখ্যা শতাধিক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় মন্দবাগ (Mondolbhag) স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তূর্ণা নিশীথা আর আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সিগন্যাল ব্যবস্থা ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, নোয়াখালি-ঢাকা, নোয়াখালি-সিলেট রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।

বাংলাদেশের প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মাঝামাঝি বগিতে ঢুকে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানিয়েছেন। স্টেশন ম্যানেজার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা গতকাল রাত ২টা ৪৮ মিনিটে শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে মন্দভাগ স্টেশনের দিকে যাত্রা করে। ট্রেনটিকে আউটারে থামার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। আর উদয়ন এক্সপ্রেস কসবা স্টেশন ছেড়ে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করার পথে ট্রেনটিকে মেইন লাইন ছেড়ে ১ নম্বর লাইনে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। উদয়নের ছয়'টি বগি প্রধান লাইনে থাকতেই তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল না মেনে ট্রেনটির মাঝামাঝি ঢুকে পড়ে। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আরও পড়ুন: Oil Field Found In Iran: বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি, ইরানে আবিষ্কৃত নতুন তেলের খনি

মন্দভাগের স্টেশনের মাস্টার মুহাম্মদ জাকের হোসেন চৌধুরি বলেন, "তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।" ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন, "এই দুর্ঘটনায় ১৬ জন মারা গেছেন। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"