
কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর: কলকাতায় হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে শীত (Winter)। দিনভর শীতের অনুভূতি মিলেছে। শৈত্যপ্রবাহের কবলে গাঙ্গেয় বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বলে হাওয়া অফিসের খবর। রবিবারও (Sunday) একইরকম কড়া ঠান্ডা থাকবে। জানা যাচ্ছে, এদিনও শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নতুন দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেও তীব্র শীত চলছে। শনিবার কলকাতা (Kolkata) ছিল ঠান্ডায় জবুথবু। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি নিচে নেমে গিয়ে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকেছিল। যা এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত শীতলতম বলেই ধরা যায়। বারাকপুরে আরও কিছুটা নেমে রাতের তাপমাত্রা থিতু হয়েছিল ১০ ডিগ্রিতে। পুরুলিয়ায় রাতের তাপমাত্রা নেমেছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নয়াদিল্লির পারদ নেমে যায় ২.৪ ডিগ্রিতে। দিনভর জোর গতিতে উত্তুরে বাতাস বয়েছে। তাই সারা দিন ধরেই ঠান্ডা অনুভূতি ছিল শহরে। আর আজ রবিবারেও রাজ্যজুড়ে বজায় থাকবে জমাট শীতের আমেজ। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিমের বাকি জেলাগুলিতেও রাতের তাপমাত্রা ৭-৮ ডিগ্রির কাছে পিঠে ঘোরাফেরা করছে। তরাই-ডুয়ার্সেও রাতের তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রির কাছাকাছি রয়েছে। এমন ঠান্ডা ডিসেম্বরে শেষ কবে পড়েছিল, তা নিয়ে চর্চা চলছে। গত বছরেই ২৯ ডিসেম্বর কলকাতার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১০.৬ ডিগ্রিতে। আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: পারদ ছুঁল ১০ ডিগ্রি! সূর্য ও মেঘের লুকোচুরিতে হালকা রোদ, বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে ২০২০-র বর্ষবরণ
আবহবিদরা বলছেন, চলতি দফায় শীত দীর্ঘায়িত হবে না। আরও একটি শক্তিশালী পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাশ্মীরে (kashmir) ঢুকছে। তার প্রভাবে ফের বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। তাপমাত্রা বাড়বে গোটা দেশেই। নববর্ষে রাজধানীর তাপমাত্রা সাত ডিগ্রির আশপাশে পৌঁছে যাবে। তার প্রভাব পড়বে পুবের তল্লাটেও। ওই সময় কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে। আগামীকাল সোমবার থেকে শুকনো হিমেল বাতাসের দাপট কমবে। ফলে কমবে শীতের অনুভূতিও। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝঞ্ঝার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের উদয় হবে। স্থলভাগে হাজির হবে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। দুয়ের প্রভাবে নববর্ষের আকাশে মেঘ ঢুকবে। নতুন বছরের প্রথম তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। বেশি বৃষ্টি হবে দ্বিতীয় দিন