কংগ্রেসের পতাকা প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

কলকাতা, ১৫ জুন: জোট করে লাভ হয়নি কিছুই। রাজ্যে লোকসভায় আসন জিতলেও, বিধানসভায় একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। রাজ্যে ভোটের ফল বের হওয়ার পর বাংলার রাজনীতি বদলেছে নানা সমীকরণ। সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে বাম, (Left Parties) কংগ্রেস (Congress), আইএসএফ (ISF)-জোট নিয়েই। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে কি তাহলে রাজ্য রাজনীতিতে ফের প্রাসঙ্গিক হতে বামেদের ছেড়ে একলা লড়বে কংগ্রেস! নাকি দিদি-র কাছাকাছি এসে ২০১১ বিধানসভার মত জোটে ইচ্ছুক হবে কংগ্রেস! আরও পড়ুন: গর্ভ নিরোধকের বিজ্ঞাপন, অশ্লীল কটূক্তির মুখে নুসরত জাহান

এসব জল্পনার মাঝেই সিপিএম নেতা তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের এক পোস্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস কর্মীরা। বিকাশ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সাঁইবাড়ির ঘটনা নিয়ে পোস্টে বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসি গুন্ডা-সব কংগ্রেস বিরোধী নানা শব্দ ব্যবহার করেন।

তাতেই তীব্র ক্ষোভের সৃষ্ট হয় রাজ্য কংগ্রেস নেতা, কর্মীদের মধ্যে। বিকাশের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র-র কাছে নালিশও করেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। কিন্তু জোটে থেকেও কী করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন শব্দ ব্যবহার করতে পারেন কোনও সিপিএম নেতা তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। তাহলে কি সিপিএমও আর কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আগ্রহী নয়?

কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সোনিয়া গান্ধী ও নেতা রাহুল গান্ধীকে লেখা ই- মেল মারফত বলা হয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীরা ওই ঘটনায় শুধু ক্ষুব্ধই নয়, তারা খুব অপমানিতও হয়েছেন। এরকম এক পরিস্থিতিতে সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভেবে দেখতে বলা হয়েছে সোনিয়া, রাহুলকে। রাজ্যে একলা চলো-র পক্ষেই সওয়াল করেছেন কংগ্রেস নেতারা। এখানেই তারা থেমে থাকেননি। তাঁরা চাইছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে বিকাশ রঞ্জনের পোস্ট নিয়ে জবাব দিক।

এখনও সেই অবস্থানেই অনড় বিকাশরঞ্জন। ব্রিগেডের মঞ্চে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকি-র কাণ্ডে অপমাণিত হওয়া, তারপর রাজ্যে বিধানসভায় একটা আসনও জিততে না পারায় অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বাম নেতাদের সম্পর্কও আগের মত মধুর আছে কি না সে প্রশ্নও উঠছে। ভবানীপর বিধানসভা উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চায় না বলেও কংগ্রেস নেতা-সাংসদ অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন। তবে বামেরা মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে। ভোটে প্রার্থী দেওয়া নিয়েও জোটের মধ্যে কিছু জেলায় মত পার্থক্য ছিলই। ফল পুরো শূন্য হওয়ার পর থেকে জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই সেটা জানা কথা।  তবে রাজ্যে কিছু জেলা বাদ দিলে কংগ্রেস এতই দুর্বল যে একা চলা কতটা সম্ভব সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।