কলকাতা, ২৫ নভেম্বর: দিন গড়িয়ে সন্ধ্যে। রাজ্য জুড়ে তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (By Elections 2019) ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ। তিন বিধানসভা কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ পর্ব মোটের উপর শান্তিপূর্ণ বলল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া রাজ্যে সোমবার সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত অশান্তির কোনও চিত্র নজত্রে আসেনি। করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার (Jaiprakash Majumder) আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ছাড়া, আর কোথাও তেমন কোনও বড় বিশৃঙ্খলার খবর নেই। সকাল থেকে যে করিমপুর থেকে ঝামেলার খবর আসছিল, বিকেল ৩টে পর্যন্ত সেখানেই ভোট পড়েছে ৭০.৬৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুরে বিকেল ৩টে পর্যন্ত সেই সংখ্যাটাই যথাক্রমে ৬৫.৩০ এবং ৫৭.১১ শতাংশ।
করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুরে এদিন ভোটগ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই। নির্বাচন চলাকালীন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) থাকা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে ওঠে খড়্গপুরে। বেআইনিভাবে দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরে রয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও নালিশ জানায় কংগ্রেসও। যদিও দিলীপের দাবি, মহকুমাশাসকের অনুমতি নিয়েই তিনি খড়্গপুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দাবি খারিজ করে মহকুমাশাসকের দফতর। তারা জানিয়ে দেন দিলীপ চিঠি দিয়েছিলেন বটে কিন্তু তাঁকে খড়্গপুরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গোটা ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। আরও পড়ুন: West Bengal bypoll: জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধরের ঘটনায় ৯ তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের বিজেপির
অন্যদিকে আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, কালিয়াগঞ্জে ভোটকক্ষে ঢুকে স্ত্রীকে কোন বোতাম টিপতে হবে দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারের (Kamal Chandra Sarkar) বিরুদ্ধে। স্ত্রী ভোট দিতে ঢুকলে ইভিএম যন্ত্রের কাছে চলে আসেন কমলবাবু। কোন বোতাম টিপতে হবে তা দেখিয়ে দেন। এ নিয়ে তৃণমূল তীব্র প্রতিবাদ করলেও তিনি জানান, বরাবর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এভাবেই ভোট দিয়েছেন তিনি। ঘটনায় ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরানো হয়। এদিকে, খড়্গপুরেই একটি বুথে আয়না লাগিয়ে কে কোন বোতাম টিপছেন, তাতে নজরদারি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও পরে দেখা যায় আয়না নয়, কাচের দরজা লাগানো থাকায়, কে কোন বোতাম টিপছেন, তা দেখা যাচ্ছিল। এরপর ওই দরজা চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।