শীত (প্রতীকী ছবি: File Photo)

কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১১টি জেলায় কুয়াশার দাপট চলেছে সপ্তাহখানেক ধরে। ডিসেম্বের ১৫ তারিখে পেরিয়ে গেলেও শীতের দেখা নেই। সকালে হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকলে দিনভর সোয়েটার গায়ে রাখা দুস্কর হচ্ছে। তবে মন খারাপের কিছু নেই। উত্তুরে বাতাস ঢুকে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুরের হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শুক্রবার অর্থাৎ আগামী কাল রাত থেকে ঠান্ডা (Winter In West Bengal) পড়তে শুরু করবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত থাকবে কনকনানি ঠান্ডা। তাপমাত্রার পার তিন থেচে ৪ ডিগ্রি নামতে পারে। শোনা যাচ্ছে, বঙ্গের কোথাও কোথাও পারদ নেমে ১২ ডিগ্রিও হবে। তাই মন খারাপনাকরে বছর শেষের দিনগুলি আনন্দে কাটাতে আয়োজন সম্পূর্ণ করুণ। গরম পোশাকরে সঙ্গে কমলালেবু, কেক, পিঠেপুলি আর শীতের রোদ্দুর, পুরো জমে ক্ষীর।

অন্যদিকে উত্তর পশ্চিম ভারতে কনকনিয়ে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। তাপমাত্রা নামবে আরও তিন ডিগ্রি। মধ্য ও পশ্চিম ভারতেও শীতের প্রভাবে তাপমাত্রা চার ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের বেশকিছু অংশে জারি হয়েছে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা। এদিকে বঙ্গে ঠান্ডা পড়লেও আগামী দুদিন দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলা ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকবে। আংশিক মেঘলা আকাশের দেখা মিললেও উত্তুরে হাওয়ার দাপটে শীতের কমতি ঘটবে না। উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে আগামী কয়েকদিন হালকা থেক মাঝারি বৃষ্টি হলেও পারদ নামবে চড়চড়িয়ে। আরও পড়ুন-Supreme Court: আন্দোলন করার সাংবিধানিক অধিকার কৃষকদের রয়েছে, সুপ্রিম রায়ে সিলমোহর

চলতি বছরে নভেম্বরের শেষের কয়েকটা দিনে ঠান্ডা উঁকি দিলেও ডিসেম্বরের শুরু থেকেই তার দেখা পাওয়া যায়নি। আবহবিদরা জানিয়েছিলেন, রাজ্যে সাধারণত ডিসেম্বরের ১৫-২০ তারিখেই শীত আসে। এবারেও সে নিয়মের ব্যাতিক্রম হবে না। আবহবিদদের অনুমান মিলে যাচ্ছে। তবে শহর কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে এমন কুয়াশার চাদর বহুদিনদেখা যায়নি। গত সপ্তাহের এই দিনগুলিতে বেলা বাড়লেও একহাত দূরের দৃশ্যমানতা উধাও হয়েছিল। সেসব কেটে রোদ্দুরের মুখ দেখা গিয়েছে। তবে আকাশজুড়ে মেঘের আনাগোনা বন্ধ নেই।